X

ন্যাশনাল টির শেয়ার বণ্টনের তুঘলকি কাণ্ড তদন্তে কমিটি, বাড়ল চাঁদা গ্রহণের সময়

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) নতুন শেয়ার ইস্যু নিয়ে তুঘলকি কাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বুধবার রাতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। আজ বৃহস্পতিবার তা বিএসইসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

এনটিসির প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ঘটেছে কি না, কোম্পানিতে সরকারি মালিকানার অংশ কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানসহ বেশ কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক রাকিবুর রহমানকে। অপর দুই সদস্য হলেন সংস্থাটির উপপরিচালক বনি ইয়ামিন খান ও সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটিকে আটটি বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গত পাঁচ বছরে কোম্পানিতে সরকারি মালিকানার অংশ কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বা সরকারের শেয়ার নতুন শেয়ারধারীদের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তরের ফলে কোম্পানির মূলধনে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে, নতুন শেয়ার ইস্যু ও সংগৃহীত অর্থের ব্যবহারের উদ্দেশ্য, প্লেসমেন্টে নতুন শেয়ার ইস্যু ও কী পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে, সেই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ, প্লেসমেন্ট শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময় বৃদ্ধির আবেদনের পরও কী কারণে কিছু ব্যক্তির মধ্যে নতুন শেয়ার ইস্যু করা হলো তার কারণ অনুসন্ধান, গত তিন বছরে কোম্পানিটির ঋণ পরিস্থিতি ও ক্রমাগত লোকসানের কারণ অনুসন্ধান। এ ছাড়া গত ২৮ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরবৃদ্ধির কারণ এবং প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো যথাযথভাবে পরিপালন করা হয়েছে কি না, তা–ও তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এনটিসির প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর মেয়াদ শর্ত সাপেক্ষে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ ৩১ মার্চের মধ্যে প্লেসমেন্ট শেয়ারের চাঁদা গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। সময় বৃদ্ধির অনুমোদনের শর্তের মধ্যে রয়েছে কোম্পানিতে সরকারি মালিকানার অংশ ৫১ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। সরকারি মালিকানার অংশ ৫১ শতাংশে উন্নীত হওয়ার শর্ত পরিপালিত না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings