স্ট্রোক করা মাকে নিয়ে হাসপাতালে যান আনিসা আহমেদ নামে এক এইচএসসি শিক্ষার্থী। এজন্য পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেরি হওয়ায় বসতে পারেননি পরীক্ষায়। তবে তিনি তার এই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট (ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল) মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসার সঙ্গে আমার মাত্র কথা হয়েছে। তার নাম আনিসা আহমেদ। আনিসার অসুস্থ মা ও তার কলেজ, ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান স্যারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাঙলা কলেজের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কর্মী শিব্বির আহমেদ উসমানি আমাকে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন।’
‘আনিসার বাবা দুই বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। অসুস্থ মাকে দেখাশোনার জন্য আনিসাই একমাত্র অবলম্বন। শিক্ষকরা এই ছাত্রীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। আজও তারা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটা আজ হয়নি। তারা বিশেষ বিবেচনায় আনিসার আজকের পরীক্ষাটি পরবর্তীতে গ্রহণের চেষ্টা করবেন। আমি আমার শেষ পদক্ষেপ হিসেবে আইনগত সহযোগিতা করার বিষয়টি আনিসা, তার মা ও অধ্যক্ষ স্যারকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে ২০০০ সালে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩২ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া সংক্রান্ত পূর্বের মামলার নজির তাদের জানিয়ে রেখেছি। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন। মেয়েটি যেন বাকি পরীক্ষাগুলো নিশ্চিন্তে দিতে পারে, সেটি ব্যবস্থা করার জন্য তার মা ও অধ্যক্ষ স্যারকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক পোস্টের পর সবাই যেভাবে মেয়েটির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন, আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা উপদেষ্টা মানবিক বিবেচনায় আনিসার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে তার শিক্ষা জীবন অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করবেন। আনিসাকে যেন আদালতের দ্বারস্থ হতে না হয়, সেটা আমার প্রত্যাশা।’