X

পাঁচ বছর পর জাহাজ রফতানিতে ফিরছে ওয়েস্টার্ন মেরিন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি করা ল্যান্ডিং ক্রাফট ‘রায়ান’ চলবে আমিরাতে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি করা ল্যান্ডিং ক্রাফট ‘রায়ান’ চলবে আমিরাতে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মালিকানাধীন মারওয়ান শিপিংয়ের জন্য ৬৯ মিটার দীর্ঘ বিশেষায়িত জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর পর ওয়েস্টার্ন মেরিন প্রথম জাহাজ রফতানি করতে যাচ্ছে। আসন্ন জানুয়ারিতে জাহাজটি হস্তান্তর করা হবে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জাহাজ রফতানি করেছিল কোম্পানিটি। গতকাল বোট ক্লাবের ঘাটে ওয়েস্টার্ন ক্রুজে হওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন মেরিনের জিএম (অর্থ) আবুল মনসুর, শাহেদুল বাশারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানান, মারওয়ান শিপিংয়ের সঙ্গে ২০২৩ সালে আটটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করেছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন। ‘‌খালিদ’ ও ‘‌ঘায়া’ নামের দুটি টাগবোট রফতানি করবে আগামী বছরের এপ্রিলে। বাকি পাঁচটি জাহাজ আগামী বছরের মধ্যে রফতানি করা হবে। এর আগে ২০১৭ সালে একই ক্রেতার কাছে রফতানি করেছিল।

তিনি আরো জানান, জাহাজ রফতানি করায় রেমিট্যান্স আয়ের পাশাপাশি দেশী গ্যাস, ইস্পাত, রঙ, ফার্নিচার, কেমিক্যাল, ইলেকট্রিক কেবলসহ অনেক ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে উঠছে। ওয়েস্টার্ন মেরিন এ পর্যন্ত ১১টি দেশে ৩৩টি জাহাজ রফতানি করেছে, যার মূল্য ১০ কোটি ডলারের বেশি। তাছাড়া আগামী মাসের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের কাছে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি রূপসা ও এমভি সুগন্ধা হস্তান্তর করবে কোম্পানিটি।

সোহেল হাসান বলেন, ‘‌বিগত সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য লো কস্ট ফান্ড করেছিল, কিন্তু কেউ নিতে পারেনি। চলতি মূলধনের জন্য লো কস্ট ফান্ড সরকার দিতে পারে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সহজীকরণটা খুবই জরুরি। আমাদের ব্যাংকে বিভিন্ন লোন আছে যেগুলোর আসল ও সুদ আলাদা ক্ল্যাসিফায়েড করে দেয়ার পর আমরা সেগুলো পরিশোধ করছি। এ প্রতিষ্ঠানকে আবারো নতুন করে গুছিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। তাছাড়া আমরা চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, কর, ভ্যাট ইত্যাদি বিষয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চাই। শিপ বিল্ডিং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ইয়ার্ডে নয়টি জাহাজ রফতানির কাজ চলছে। আমাদের সম্পদ হচ্ছে জনশক্তি। তারা দক্ষ, কাজ করার উৎসাহ আছে। তাদের প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দিতে পারলে সাফল্য আসবে।’

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings