X

পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে এমবাপ্পে-নেইমারের অভিনন্দন

অবশেষে সেই দিন এলো—প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের ইতিহাসে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত রাত। মিউনিখে ইন্টার মিলানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছুঁয়ে দেখল ফরাসি ক্লাবটি। ৫-০ গোলের এই মহাবিজয়ে শুধুই নতুন ইতিহাস নয়, ভেঙে গেল ইউরোপের সর্বোচ্চ মঞ্চে ফাইনালের জয়ের ব্যবধানে পূর্বের সব রেকর্ডও।
পিএসজির এই জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার জুনিয়র।
রিয়াল মাদ্রিদে গিয়ে নিজের প্রথম মৌসুমেই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের কাছে বিদায় নেওয়া এমবাপে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘বড় দিনের অপেক্ষা শেষ হলো। জয় এবং সেটিও পরিপূর্ণভাবে—অভিনন্দন, পিএসজি!’

ছয় বছরে ক্লাবটির হয়ে ছয়টি লিগ শিরোপা ও চারটি করে ফরাসি কাপ ও লিগ কাপ জিতলেও, ইউরোপের সেরা ট্রফির স্বাদ এমবাপ্পে পাননি। এবার তার বিদায়ের মৌসুমেই পিএসজি উঠল মহাসিংহাসনে।
নেইমারও নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পাঁচটি করতালির ইমোজি দিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যায় ক্লাব অধিনায়ক মার্কুইনহোস চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি উঁচিয়ে ধরছেন। সেই ভিডিওর নিচে নেইমার লেখেন, ‘অভিনন্দন পিএসজি!’

২০১১ সালে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের হাত ধরে যখন পিএসজির নতুন পথচলা শুরু হয়, তখন থেকেই ক্লাবটির লক্ষ্য ছিল ইউরোপ সেরা হওয়া। নেইমার, এমবাপ্পে, মেসিদের মতো বিশ্বসেরা তারকাদের নিয়ে অনেকবার কাছাকাছি এসেও হতাশ হতে হয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে লিসবনে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ফাইনালে হেরে যাওয়া ছিল বড় আক্ষেপ।

কিন্তু এ বার আর পেছনে তাকাতে হলো না। ম্যাচের নায়ক ছিলেন ফরাসি কিশোর তারকা দেজিরে দুয়ে। তিনি প্রথমে অ্যাসিস্ট করেন হাকিমির গোলে, এরপর নিজেই করেন জোড়া গোল। খভিচা ও ১৯ বছর বয়সী বদলি খেলোয়াড় সেনি মায়ুলুর গোলে ৫-০ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে দেয় পিএসজি—যা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়।

মাঠে আনন্দের ঢেউ, আর মাঠের বাইরে সাবেক তারকাদের শ্রদ্ধায় ভরে উঠল প্যারিস। এক যুগের অপেক্ষার পর অবশেষে পিএসজির ভাগ্যে এল সেই কাঙ্ক্ষিত রাতে।

firoz:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings