এজেন্ট হিসেবে ২০০৬ সালে বিমা পেশা বেছে নেন মো. শরিফল ইসলাম (ছদ্মনাম)। গ্রামে গ্রামে ঘরে স্বল্প আয়ের কয়েকশ মানষকে বিমার আওতায় আনেন। মাসে এক, দই বা পাচশ টাকা করে বিমা প্রিমিয়াম দিতে থাকেন এসব গ্রাহক। ১০ বছর পর এসব বিমা পলিসির মেয়াদ শেষে ঘটে বিপত্তি। মাসের পর মাস, এমনকি বছর গড়িয়ে গেলেও কোম্পানি গ্রাহকদের বিমা দাবির টাকা পরিশোধ করে না। তিক্ত-বিরক্ত হয়ে গ্রাহকরা শরিফলকে নানাভাবে নাজেহাল করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে নতন গ্রাহকদের বিমা করা বন্ধ করে দেন
এই বিমা এজেন্ট। একই সঙ্গে নানা উপায়ে তার
মাধ্যমে যেসব গ্রাহক বিমা করেছেন, তাদের দাবির
টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া
শরিফল এক সময় পেশাই ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। শুধ
শরিফল নন, এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মখীন
হয়েছে কয়েক হাজার বিমা এজেন্ট। দ্বারে দ্বারে ঘরে
স্বল্প আয়ের মানষকে বিমার আওতায় আনা অনেক
এজেন্ট মেয়াদ শেষে তাদের দাবির টাকা তলে দিতে না
পারার তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। রাগে-ক্ষোভে
অনেকেই এক পর্যায়ে ছেড়েছেন পেশা। বিমা খাতের
নিয়ন্ত্রক সং¯’া বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তপক্ষের
(আইডিআরএ) হিসাবেই ২২টি জীবন বিমা
কোম্পানিতে নিষ্ক্রিয় এজেন্টর সংখ্যা তিন লাখ ২২
হাজার ৩৮৮ জন। বিমা পেশা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে
জানতে চাইলে শরিফল ইসলাম বলেন, এইচএসসি
পাস করে এজেন্ট হিসেবে যখন কাজ শুরু করি তখন
বেশ ভালো লাগতো। নতন নতন পলিসি বিμি
করতাম, কমিশনের টাকা পেতাম। এতে পলিসি বিμির
আগ্রহ বেড়ে যায়। কিš‘ মেয়াদ শেষে যখন গ্রাহক
দাবির টাকা পা”েছন না, তখন সব খশি, আনন্দ শেষ
হয়ে যায়। দাবির টাকা না পাওয়া গ্রাহক নানাভাবে
আমাকে নাজেহাল করতে থাকেন। পরি¯ি’তি এমন
দাড়ায় নিজের বাড়িতেই থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। তিন
লাখের বেশি নিষ্ক্রিয় এজেন্ট এটা বিমা খাতের জন্য
সখকর নয়। তবে এরা কমিশনভিত্তিক। অনেকে আছেন
সিজনাল কাজ করেন, অন্য জবেও আছেন। আমাদের
অধিকাংশ বিমা কোম্পানি সময়মতো দাবির টাকা দি”েছ
না এবং অনেকে একেবারেই দিতে পারছে না। বিমা
খাতে এটা একটা বড় সমস্যা।