হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ানের জয়ের পর চলছে নানা আলোচনা। নির্বাচনের আগে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরার বিধান কার্যকর করার জন্য পুলিশি টহলের বিরোধিতা করেছিলে তিনি। ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কড়াকড়ি শিথিল করারও অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুদ্রাস্ফীতি কমানোর। তাহলে পেজেশকিয়ান ইরানকে এবার কোন পথে নেবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রয়েছে কৌতুহল।
গেল মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ানকে বেছে নিয়েছেন ইরানিরা। নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট একজন চিকিৎসকও। দেশটির কট্টরপন্থি সাইদ জালিলির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পান তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় ইরানকে বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্ত করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তেহরানের গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পেজেশকিয়ান।ইরানের পারমাণবিক কার্যকলাপ সীমিত করতে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ছিল সেই চুক্তিতে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরার বিধান কার্যকর করার জন্য পুলিশি টহলের পুরোপুরি বিরোধিতা করেছেন পেজেশকিয়ান। একই সঙ্গে ইরানে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটের ওপর যে কড়াকড়ি আরোপ রয়েছে, তা শিথিল করারও অঙ্গীকার করেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুদ্রাস্ফীতি কমানোরও। কারণ, গেল কয়েক বছর ধরে ইরানিদের পিঠ দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে ভয়াল মুদ্রাস্ফীতির থাবা।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে ইরানের। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এ সম্পর্ক পেজেশকিয়ানের শাসনামলে আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কৌশলগত চাবাহার বন্দর নিয়ে আগেই ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে ভারত। যদিও নয়াদিল্লির সঙ্গে এই বন্দর ইস্যুতে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে পেজেশকিয়ানকে।