X

ফজর ও এশার জামাতে না যাওয়া ব্যক্তিরা কেমন? যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.

দিন-রাত মিলিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। প্রতিদিনের নামাজগুলো শুরু হয় ভোর থেকে। ভোরে ফজর নামাজ পড়তে হয়। দুপুরে জোহর, বিকেলে আসর, সন্ধ্যায় মাগরিব এবং রাতে ইশার নামাজ আদায় করতে হয়।

দিন-রাতের অন্যান্য সব নামাজ স্বাভাবিক নিয়মে পড়লেও ইশা ও ফজরের নামাজ আদায় করতে গড়িমসি দেখা যায় অনেকের মাঝে। অথচ এই দুই ওয়াক্তের নামাজ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং আদায়ে গড়িমসিকারীকে হাদিসে মুনাফিক হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে।

হজরত উবাই ইবনু কাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—

একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের সলাত আদায় করার পর বললেন, অমুক আছেন কি? সাহাবীগণ বললেন, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ দুই ওয়াক্ত (ফজর ও ইশা) সালাতই মুনাফিকদের জন্য বেশি ভারী হয়ে থাকে। তোমরা যদি এ দু’ওয়াক্ত সালাতে কী পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে তা জানতে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তোমরা অবশ্যই এতে শামিল হতে।

জামাতের প্রথম কাতার মালায়িকাহর (ফেরেশতাদের) কাতারের সমতুল্য। তোমরা যদি এর ফাজিলত সম্পর্কে জানতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা এজন্য প্রতিযোগিতা করতে। নিশ্চয় দু’জনের জামাত একাকী সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামাত দু’জনের জামাতের চেয়ে উত্তম। জামাতে লোক সংখ্যা যত বেশী হবে মহান আল্লাহর নিকট তা ততই বেশি পছন্দনীয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করা সবার জন্য ফরজ। নামাজ আদায়ে অনেকের মাঝেই গড়িমসি ভাব দেখা যায়। অথচ যারা নামাজ পড়েন তাদের জেনে রাখা উচিত নামাজ শুধু আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে না, বরং দুনিয়া ও আখেরাতে মানুষের জীবন সহজ ও স্বস্তিদায়ক করে। মানুষকে আল্লাহর পুরস্কারের উপযোগী করে তোলে।

যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার সব আমল ঠিক হওয়ার সুসংবাদ শুনানো হয়েছে হাদিসে। রাসূল সা. বলেছেন, যার সালাত সুন্দর হবে তার অন্যান্য আমলগুলোও শুদ্ধ ও সঠিক হয়ে যাবে। বিপরীতে যার সালাত শুদ্ধ নয়, তার অন্য আমলও শুদ্ধ হবে না। (সহিহ তারগীব, হাদিস : ৩৬৯)।

নামাজ নিয়মিত আদায়ের অন্যতম পুরস্কার হতে পারে উপরে বর্ণিত হাদিসটি। এছাড়াও অন্য হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, প্রতিদিন পাঁচ বার গোসল করলে যেমন কোন ময়লা থাকে না, তেমনই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন।(বুখারি, হাদিস : ৫২৮)

Categories: ধর্ম
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings