গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন তার স্বাভাবিক রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে। বনের বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতি নতুনভাবে অঙ্কুরিত হতে শুরু করেছে। এ ছাড়া বর্ষার প্রভাবে বন এখন সুন্দরী, গোরান, গোলপাতা ও বনের আশপাশের অন্যান্য গাছে ভরপুর হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে শতাধিক হরিণ ও অন্যান্য প্রাণী মারা যায়।’ এ ছাড়া অসংখ্য সুন্দরী, গোরান ও গোলপাতা গাছসহ অন্যান্য উদ্ভিদের প্রজাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। যার ফলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বৈভব কেড়ে নেওয় হয়েছে বলে জানান এই বন
সংরক্ষক। তিনি আরও বলেন, ‘বন বিভাগ ইতোমধ্যে উদ্ভিদের পুনর্জন্ম এবং মাছ ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে লবণাক্ত হয়ে যাওয়া পুকুরগুলো সম্প্রতি বর্ষার বৃষ্টির কারণে মিঠা জলে পরিপূর্ণ হয়েছে। যা সুন্দরবনকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছে। আবার প্রাণশক্তিতে ভরে দিয়েছে। পর্যটক, জেলে, বননির্ভরশীল এবং মধু সংগ্রহকারীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে সুন্দরবন এখন একটি নির্মল নীরবতা উপভোগ করছে। যা মাছ ও উৎপাদন বৃদ্ধি, তাদের অবাধ কার্যক্রম এবং নতুন উদ্ভিদের করেছে। ম্যানগ্রোভ বনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতির
বর্ষার প্রভাবে বন এখন সুন্দরী, গোরান, গোলপাতা ও বনের আশপাশের অন্যান্য গাছে ভরপুর হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে
লবণাক্ত হয়ে যাওয়া পুকুরগুলো সম্প্রতি জলে বর্ষার বৃষ্টির কারণে মিঠা পরিপূর্ণ হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় শতাধিক মিঠাপানির পুকুর লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে শতাধিক হরিণ ও অন্যান্য প্রাণী মারা যায় ।’ এ ছাড়া অসংখ্য সুন্দরী, গোরান ও গোলপাতা গাছসহ অন্যান্য উদ্ভিদের ফলে কেড়ে এই প্রজাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। যার সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বৈভব নেওয়া হয়েছে বলে জানান
বন্যপ্রাণীর প্রজননের সময় দিতে গত ১ জুন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণ এবং জেলে, বাওয়ালি ও মধু সংগ্রহকারীদের প্রবেশ
সীমিত করেছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার এক মাসের মধ্যেই সুন্দরবন তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।’ পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রের ওসি হাওলাদার আজাদ কবির জানান, সুন্দরবন ৩৫০ প্রজাতির পাখি, ২৬০ প্রজাতির প্রাণী, ৩০-৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৮-১০ প্রজাতির উভচর এবং ২০০ প্রজাতির মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী দ্বারা সমৃদ্ধ। এলাসমো ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলিফা বিনতে হক ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-২৪
এর ‘সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ক্যাটাগরি’র ফাইনালিস্ট এবং একজন কমনওয়েলথ স্কলার। এ বিষয়ে তিনি
বলেন, প্রকৃতি ও মহাসাগর সংরক্ষণের বিষয়টি আসলে মানুষের ইচ্ছাধীন, এই ধারনাটিই আয়োজনের মূলে রয়েছে। হাঙর, শাপলাপাতা মাছ, ও করাত
মাছের মতো মহাবিপন্ন প্রাণীদের নিয়ে সচেতন করতে সব ধরনের মানুষদের একত্র করা, অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু করা এবং আগামী প্রজন্মের স্বার্থে
তাদের নিরাপদ রাখার উপায় বের করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। আগামী ১৮ জুলাই মহাবিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণী ‘করাত মাছ’ সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। এর পাশাপাশি, তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করা হবে; এ প্রদর্শনীতে অসাধারণ সব আলোকচিত্রের মাধ্যমে সমুদ্রের অপার রহস্য তুলে ধরা হবে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান ও প্রজাতির সুরক্ষা নিশ্চিতে