কবিতা : বন্দনা
প্রশ্ন: ‘কত দুক্ষে একে একে বছর গোঞাএ’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে সন্তান লালন-পালনে বাবা-মায়ের অবদানের কথা ওপরের কাব্যাংশে স্মরণ করা হয়েছে।
মানব সন্তান পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখার আগেই মা তাকে অনেক কষ্টে গর্ভে লালন করেন। জন্মের পর মা-বাবা তাকে খাইয়ে-পরিয়ে বড় করে তোলেন। সন্তানের অসুখ হলে মা-বাবা নির্ঘুম রাত কাটান। ঘরে কোনো খাবার না থাকলেও সন্তানের জন্য খাবার জোগাড় করে নিজেরা না খেয়ে কাটিয়ে দেন। বাঙালি মায়ের সন্তান-বাৎসল্যের এমন উদাহরণ বিরল। সন্তান জন্মের পর থেকে যতদিন বাবা-মা জীবিত থাকেন ততদিন তাদের এই স্নেহ-মমতার কমতি হয় না। সন্তানের জন্য বছরের পর বছর বাবা-মায়ের উৎকণ্ঠাকে কবি এভাবেই ওপরের লাইনটিতে তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন: ‘ওস্তাদে প্রণাম করোঁ পিতা হন্তে বাড়’ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: মানবশিশু প্রকৃত মানব হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে থাকে শিক্ষকের মাধ্যমে। তাই কবি ‘বন্দনা’ কবিতায় আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
মানবশিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সে অসহায় অবস্থায় থাকে। বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় তাকে আস্তে আস্তে বড় করে তোলেন। এরপর শিক্ষক ওই শিশুকে বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞানে বড় করে তোলেন। সে কারণেই শিক্ষক হচ্ছেন দ্বিতীয় জন্মদাতা। শিক্ষকের এই মহান অবদানের বিষয়টিকে বোঝাতে কবি ওপরের বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ ওপরের উক্তিটিতে শিক্ষকের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা