সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী ফরম পূরণ করে তা রেজিস্ট্রার জেনোরেলের দপ্তরে দাখিল করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গত ২০ আগস্ট দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞার স্বাক্ষরে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে আইন মন্ত্রণালয় গত ১৩ আগস্ট দেশের সব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চায়। সে ধারাবাহিকতায় এবং প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায়ে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ।
এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্য) দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সম্পদের হিসাব বিবরণী আগাম ১ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে সংযুক্ত ফরম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে দাখিল করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
হিসাব বিবরণীর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ এসেছিল। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সেটিতে সম্মতি দিলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের বিষয়টি নতুন নয় জানিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ‘২০১৩ বা ২০১৪ সালে একবার হিসাব চাওয়া হয়েছিল। এরপর মাঝখানে আর চাওয়া হয়নি এখন আবার চাওয়া হলো।’
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এই অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুলকে। গত ১৪ আগস্ট সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই উপদেষ্টা জানান, বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।