অভ্যুত্থান-পরবর্তী বছরে নতুন স্বপ্ন বুনছে দেশের মানুষ। শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্টরাও ২০২৫ সালকে সম্ভাবনাময় বছর হিসেবে দেখতে মুখিয়ে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা পূরণে থাকবে একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জ। সরকার সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে শিক্ষাখাত নতুন এক সম্ভাবনাময় পথে হাঁটবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ভোগান্তি কমানোর চ্যালেঞ্জ
দেশে বর্তমানে চালু রয়েছে ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদন পেয়ে কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় আরও দুটি। অর্থাৎ, ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের জন্য একদিকে যেমন ভোগান্তির, তেমনি খরচও অনেক।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু করেছিল। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সাধারণ গুচ্ছ, আটটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কৃষি গুচ্ছ এবং তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকৌশল গুচ্ছ ছিল। বুয়েট, ঢাবি, রাবি, চবি, জাবিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে পরীক্ষা নিচ্ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কিছুটা হলেও কমে আসে।
আমরা হাল ছাড়িনি। এখনো সুযোগ আছে। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ১৮-২০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে রাখতে পারলেও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম
বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলেও আওয়ামী লীগ সরকার চাপে ফেলে তা হতে দেয়নি। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সেই ব্যবস্থা ধরে রাখতে ব্যর্থ। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে গুচ্ছ বহাল রাখার দাবি করা হয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দফায় দফায় নোটিশ দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাগে আনতে পারেনি।
ফলে জবি, শাবিপ্রবি, কুবি, খুবি, ইবি, রুয়েট, চুয়েট, কুয়েটসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ছেড়ে নিজস্ব ব্যবস্থায় ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত গুচ্ছ পুরোপুরি ভেঙে গেলে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়বে খরচ। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ভোগান্তি এড়ানোর চ্যালেঞ্জে ভালোরকম ভুগতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা হাল ছাড়িনি। এখনো সুযোগ আছে। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ১৮-২০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে রাখতে পারলেও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।’
শিক্ষার্থীরা চান সক্রিয় ছাত্রসংসদ, শঙ্কায় প্রশাসন
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে একটি শক্তিশালী নির্বাচনব্যবস্থা সবার দাবি। পাশাপাশি স্বাধীনভাবে সবার ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা চায় মানুষ। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের আগে সেই ট্রায়ালটা বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় অনার্স কলেজগুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে হোক, সেটাই চাওয়া শিক্ষার্থীদের। ছাত্রসংসদ সক্রিয় করে ক্যাম্পাসগুলো ইতিবাচক ধারার ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে চায় সরকারও।
শিক্ষার্থীদের এমন দাবির মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রসংসদ সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টরও। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র সংগঠনগুলো ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
তবে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে অস্থিরতার আশঙ্কা দেখছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিশেষ করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের বিপরীতমুখী অবস্থান সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসুর সবশেষ নির্বাচন হয়। পাঁচবছর পর ২০২৫ সালে আবারও নির্বাচনের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ। এর বড় অংশীদার ছাত্র সংগঠনগুলোও। তাদের দায়িত্বশীল আচরণ ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পথ খুলে দেবে। তারা যদি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে তখন সেটা নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচন হয়েছিল সবশেষ ১৯৮৯ সালে। এরপর ৩৪ বছরে বহুবার উদ্যোগ নিলেও রাকসু নির্বাচন হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের পর সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও এটিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন করা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে আমরা পরামর্শ শুরু করেছি। গঠনতন্ত্র সংস্কারেও হাত দিয়েছি। শিগগির রাকসু নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
একইভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচন হয়েছিল সবশেষ ১৯৯০ সালে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯২ সালে। চবি ও জাবি প্রশাসনও চাকসু ও জাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ছাত্র সংগঠনগুলোর ইতিবাচক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় এবার ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের আধিপত্য নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছাত্রদল বাম কিছু ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে এরই মধ্যে শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন বলছেন শিক্ষার্থীরা। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে ছাত্রশিবির অনেকগুলো বড় ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদে জয়ী হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যে লড়াই করেছি, যে চেতনা ধারণ করে হাসিনাকে বিদায় করেছি, সেখানে ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি রয়েছে। সেই দাবি শিক্ষার্থীদের দাবি। লেজুড়বৃত্তি হবে না এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলো নিশ্চিত করতে পারলে ছাত্রসংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
ছাত্রশিবিরের ঢাবি সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেন, ‘ছাত্রশিবির পেশিশক্তিতে নয়, গণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাস করে। আমরা চাই, ছাত্রসংসদ নির্বাচন দ্রুত দেওয়া হোক। ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক চর্চা গড়ে উঠুক।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছীর উদ্দিন অবশ্য ভিন্নকথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলসহ ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে কাজ করতে দেয়নি। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হবেন, কোন প্রার্থী কেমন তা বুঝতে ক্যাম্পাসে সবার কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিলে শিক্ষার্থীরা দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
শিক্ষকদের উন্নত বেতন কাঠামো নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। আবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কাঠামো খুব খারাপ। তাদের বেতন বাড়ানো উচিত। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার মত— প্রাথমিকের শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়া উচিত। কিন্তু এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
আমরা যে লড়াই করেছি, যে চেতনা ধারণ করে হাসিনাকে বিদায় করেছি, সেখানে ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি রয়েছে। সেই দাবি শিক্ষার্থীদের দাবি। লেজুড়বৃত্তি হবে না এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলো নিশ্চিত করতে পারলে ছাত্রসংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ
প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা মুখে যতই বলুন না কেন, বাস্তবতা ভিন্ন বলেই মনে করছেন শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক। তাছাড়া সরকারি মাধ্যমিক, সরকারি প্রাথমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রত্যাশিত বেতন-কাঠামো নিশ্চিতে ২০২৫ সালে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারের গঠিত কমিটি যে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, তাতেও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতার করুণ চিত্র উঠে এসেছে। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি আদায়ে তৎপর আছি। আশা করি, ২০২৫ সালের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবি পূরণ করবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের এ দাবি (দশম গ্রেড বাস্তবায়ন) যে যৌক্তিক তা সরকার বরাবর বলে আসছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি মাথায় আছে। যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি এটা বাস্তবায়ন হবে হয়তো।’
দেশের বেসরকারি শিক্ষকদের বড় দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ। ২০২৩ সালে এ নিয়ে বড় আন্দোলনও হয়েছিল। সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার আশ্বাস দিয়ে সেই আন্দোলন স্থগিত করিয়েছিল। বেসরকারি শিক্ষকরা ফের জাতীয়করণ দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকার সব করে যাবে, তা তো নয়। আমরা এ নিয়ে কমিটি করবো। তারা যে সুপারিশ দেবে, সেটা দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি না পারে তাহলে পরবর্তীসময়ে যারা দায়িত্বে আসবেন, তারা পূরণ করবেন। তবে হুটহাট আন্দোলন করা কোনো সমাধান নয়।- শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সব করে যাবে, তা তো নয়। আমরা এ নিয়ে কমিটি করবো। তারা যে সুপারিশ দেবে, সেটা দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি না পারে তাহলে পরবর্তীসময়ে যারা দায়িত্বে আসবেন, তারা পূরণ করবেন। তবে হুটহাট আন্দোলন করা কোনো সমাধান নয়।’
শিক্ষায় আরও যত চ্যালেঞ্জ
অন্তর্বর্তী সরকারের আরও বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পাঠ্যবই যথাসম্ভব দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো, পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফেরা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ মিড ডে মিল চালু করা, নীতিমালার বাইরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টিউশন ফি আদায় বন্ধ করা।
তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তা নিরসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দল-নিরপেক্ষ অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, স্থবিরতা কাটিয়ে শিক্ষা প্রশাসনের সব স্তরে গতিশীলতা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে হবে।