X

বিশ্ব বাণিজ্যে ভারত কি চীনের বিকল্প হতে পারবে

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক জেফরিজের বিশেষকেরা ধারণা করছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা পাবে। ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকার অবকাঠামো খাতে বিপল বিনিয়োগ করেছে। সেই অবকাঠামোর উন্নত মান দেখে অনেকেই দেশটির অর্থনৈতিক প্রবদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী হয়েউঠছেন। আরও অনেক বিষয়  এখন ভারতের অনকলে রয়েছে। সিএনএনের এক সংবাদ বিশ্লেষণে সে রকম একটি ঘটনা তলে ধরা হয়েছে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে জয়পর পর্যন্ত যে সড়ক আছে, গত তিন দশকে সেটির অনেক উন্নয়ন করা হলেও সেগুলো তেমন কাজে আসছিল না। কিš‘ স¤প্রতি একই গন্তব্যে নন এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণে মানষ
নতন অভিজ্ঞতার সম্মখীন হ”েছন। বিষয়টি হলো,যক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক বিনিয়োগতহবিল ম্যাথিউস এশিয়ার পোর্টফোলিও ব্যব¯’াপক হিসেবে যক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয় নাগরিক পিউস মিত্তাল ৩০ বছর ধরে দিল্লি থেকে জয়পর পর্যন্ত যাতায়াত করছেন। কর্ম¯’ল থেকে দেশে ফিরলে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে দিল্লি থেকে জয়পর যেতেন।

১৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করা হয়েছে, এক লেন থেকে দই লেন, সেখান থেকে তিন লেনে উন্নীত হয়েছে সড়কটি। কিš‘ কিছতেই যেন কিছ কাজ করছিল না, যাত্রার সময় সেই ছয় ঘণ্টাই লাগছিল। কিš‘ গত বছর ভারতে এসে পিউস মিত্তালের তাক লেগে যায়।

দিল্লি জয়পরের মধ্যে যে নতন এক্সপ্রেসওয়ে বা
দ্রæতগতির সড়ক তৈরি হয়েছে, সেই সড়কে গাড়ি
নিয়ে উঠেই তিনি রীতিমতো চমকে যান। তার
মনে হয়েছে, ভারতে কি এটাও সম্ভব। বাস্তবতা
হলো, সেই সড়কে তিনি ৭৫ মাইল গতিতে গাড়ি
চালিয়ে তিন ঘণ্টায় জয়পর পৌছে গেছেন। অর্থাৎ
যাত্রার সময় অর্ধেক কমে গেছে। সে জন্য আরও
অনেকের মতো তিনিও ভারতের অবকাঠামো
খাতের উন্নয়নে আ¯’া পা”েছন।
ফলে ভারতের উ”চ প্রবদ্ধির
সম্ভাবনা নিয়ে তারা আশাবাদী
হয়ে উঠছেন। ২০১৪ সাল থেকে
টানা দই মেয়াদে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার
শাসনামলে ভারত কী করছে,
বিশ্বের বিভিন্ন ¯’ানের আর্থিক
খাতের পেশাজীবীরা সেদিকে
দষ্টি রেখেছেন। নরেন্দ্র মোদি
ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন,
২০২৫ সালের মধ্যে তিনি
ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ
কোটি মার্কিন ডলারের
অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করবেন,
অর্থাৎ ভারতের বার্ষিক জিডিপির
আকার ৫ লাখ কোটি ডলারে তলতে চান তিনি।
এদিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবদ্ধির সম্ভাবনা
নিয়ে আশাবাদ তৈরি হলেও চীনে ঠিক তার
বিপরীত চিত্র দেখা যা”েছ। আবাসন খাত,
ঋণসংকটসহ বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক
চ্যালেঞ্জের মখে পড়েছে চীন। এর একটি বড়
কারণ হলো, বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে মখ
ফিরিয়ে নি”েছন, যদিও এর পেছনে ভরাজনৈতিক
কারণও আছে।২০২১ সালে চীনের স্টক মার্কেট
সর্বো”চ উ”চতায় ওঠার পর পতন শুরু হয়েছে।
গত কয়েক বছরে সাংহাই, সেনজেন ও হংকং
স্টক মার্কেট থেকে বিভিন্ন কোম্পানি প্রায় পাচ
ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ কোটি ডলারের বাজার মলধন
হারিয়েছে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings