X

ব্যবসায়ী হত্যায় এক পরিবারের ৯ জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন

ব্যবসায়ী হত্যায় এক পরিবারের ৯ জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী (৩০) হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৯ জনসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিহত সৈয়দ আলী উপজেলার দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের হাজি সুন্দর আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব ৭ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন।

রায় ঘোষণা সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জনের মধ্যে উপস্থিত সাতজন হলেন আ. রউফ ওরফে আলফাতুন, আজিজুল হক এলাম, রিয়াদ, আয়তুল হক কামাল, জহিরুল ইসলাম, কামাল, আশিক আহমেদ হৃদয়। বাকি ৬ আসামি পলাতক।

আ. করিমের পাঁচ ছেলে আ. রউফ ওরফে আলফাতুন (৬৯), আজিজুল হক এলাম (৫৪), মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলম মেম্বার (৫৯), কালাম মুন্সি (৬৪), আয়তুল হক মালাম (৫২)।

দণ্ডপ্রাপ্ত আ. রউফ ওরফে আলফাতুনের দুই ছেলে আঙুর মিয়া ওরফে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হায়দার আলী (৩৭)।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলম মেম্বারের দুই ছেলে রোয়েল (৩৯), রাসেল ওরফে ছোটন (৩৬), তার ভাই সোহেল (৪১)।

আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ওপরে আশিক আহম্মেদ হৃদয় (৩৪), তার ভাই রিয়াদ (৩২) এবং কাইয়ূমের ছেলে জহিরুল ইসলাম কালা (৪৪)।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর কজলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে নিহত মুদি দোকানের ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নিয়ামতপুর বাসট্যান্ড বাজারে ওষুধ আনার জন্য ফার্মেসিতে গেলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সৈয়দ আলীকে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের ভর্তি করানো হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ সৈয়দ আলীর মৃত্যু হয়।

এর আগে ওই বছরের ২৫ মার্চ ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই তার বড় বোন পারভীন সুলতানা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে। পরে সৈয়দ আলী মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলার তদন্ত কাজ শেষ একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।

Md Abu Bakar Siddique:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings