X

ভাঙ্গুড়ায় বাহারি রঙের মোড়ক জাত করে নিম্নমানের ঘি বিক্রির অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘি তৈরির কারখানা না থাকলেও বাহারি রঙের লেবেল লাগিয়ে (মোড়ক জাত করে) নিম্নমানের ঘি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে “ঘি বাড়ী” নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারি সাইফুল ইসলামের দাবি অন্য জায়গা থেকে ঘি কিনে এনে তার প্রতিষ্ঠানে লেবেল লাগান কিন্তু তিনি কোন ভেজাল কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। উপজেলা পৌর সদরের হারোপাড়ার বিশ্বাস পাড়ার মত জায়গায় এমন অবিশ্বাস্য (বাহারি রঙের লেবেল লাগিয়ে প্রতারণার) কাজ হলেও প্রসাশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ডালডা আর পাম অয়েলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে ঘি ফ্লেভার আর রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে খাঁটি মানের গাওয়া ঘি। আর “ঘি বাড়ী” নাম দিয়ে কৌটাজাত করা হচ্ছে। এরপর বিএসটিআই এর সিল বসিয়ে অবাধে বাজারজাত করা হচ্ছে ঢাকা সহ সারাদেশের বিভিন্ন হাট বাজারে। পবিত্র মাহে রমজান মাস কে টার্গেট করে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন “ঘি বাড়ী” নামের এ প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলাম। রমজান উপলক্ষে ঘিয়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তৈরি এসব ভেজাল ঘি এ এখন সয়লাব হয়ে হচ্ছে বাজার। রমজান ছাড়াও প্রতিমাসে প্রায় ৩০ হাজার কেজি এ ভেজাল ও নিম্নমানের ঘি সয়লাব হচ্ছে ঢাকা সহ সারাদেশে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের হারোপাড়া বিশ্বাস পাড়ায় স্থানীয় আলতাব হোসেন আলতু নামের এক বাসিন্দার বাড়ির পাশে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে নাম দেয়া হয়েছে “ঘি বাড়ী”। “ঘি বাড়ী” নাম থাকলেও নেই কোন ঘি উৎপাদনের কারখানা। ভাড়া কক্ষে চার জন শ্রমিক মিলে চলছে কৌটাতে “ঘি বাড়ি” নামের বাহারি রঙের লেবেল (মোড়ক জাত) লাগানোর কাজ। পাশেই আছে ঘি ভর্তি বেশ কয়েকটি ড্রাম। শ্রমিকদের হাতে নেই হান্ড গ্লোভস পড়নে নেই স্বাস্থ্যসম্মত পোশাক। পাশেই পড়ে আছে “ঘি বাড়ী” নামে কয়েক শত বাহারি রঙের লেবেল (মোড়ক জাত)। লেবেলের গায়ে লেখা ৫০০ গ্রাম ঘি ১০৫০ টাকা ও ১ কেজি ঘি ২১০০ টাকা। তবে ঠিক কোথা থেকে ওই সকল ঘি নিয়ে এসে মোড়ক জাত করছেন তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি শ্রমিকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বাস পাড়ার একাধিক ব্যক্তি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে নিম্নমানের ও ভেজাল ঘি কম দামে কিনে এনে “ঘি বাড়ী” প্রতিষ্ঠানে মোড়ক জাত করে নিজস্ব কারখানায় থেকে উৎপাদিত ঘি নামে প্রচার করে ঢাকা সহ সারাদেশে বিক্রি করেন। নিম্নমানের ওই সকল ঘি তৈরিতে পাম ওয়েল, ডালডা ও সামান্য পরিমাণ খাঁটি ঘি দেওয়া হয়। এ মিশ্রণে সামান্য পরিমাণে রং ও ব্যবহার করে এই প্রতারকরা।
ভেজাল ঘি তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী শাহজাদপুর উপজেলার একটি কারখানা থেকে তিনি ড্রামে করে ঘি কিনে এই গোডাউনে এনে প্যাকেটিং করেন। তিনি আরো বলেন, এক সময় বিএসটিআই এর অনুমোদন নিয়ে আমাদের “ঘি বাড়ীর” ঘি বাড়িতেই তৈরি হতো কিন্তু এখন বাইরে থেকে কিনে এনে মোড়কজাত করে বিক্রি করছি, তবে এ ঘি এর মান খুব ভালো।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। তবে দ্রুত ওই গোডাউন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings