X

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। সোমবার নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ভারতকে।

তিনবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠেও শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের কাছে দুই ও নেপালের কাছে একবার ফাইনাল হেরে স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের যুবাদের।এবার সেই ভারতকে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করে বাংলাদেশ তৈরি করেছে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে হারালেই হাতে উঠবে অধরা ট্রফিটি। আগের বিকেলে প্রথম সেমিফাইনাল জিতে প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় ছিল নেপাল। স্বাগতিক যুবারা পেয়েছে বাংলাদেশকে। একই গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ ও নেপাল।

গ্রুপের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল হিমালয়ের দেশের যুবারা। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল জিতেছে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। যুবাদের টুর্নামেন্ট বলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা ছিল না। ৯০ মিনিট পর সরাসরি টাইব্রেকারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।

সেমিফাইনালে ভারত প্রতিপক্ষ প্রতিপক্ষ হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জই ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ জিতে বাংলাদেশ আরো একবার যুবাদের সাফের ফাইনালে। নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে দুই অর্ধের খেলা হয়েছে দুই রকম।প্রথমার্ধে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত ভালো ফুটবল খেলে লিড নিয়েছিল। ৩৫ মিনিটে বাম দিক থেকে রাব্বি হোসেন রাহুলের নেওয়া শট ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি ভারতের গোলরক্ষক। বলে চলে যায় আসাদুল মোল্লার সামনে। তিনি কোনো ভুল করেননি, প্লেসিং শটে কাঁপিয়ে দেন ভারতের জাল।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। নেপাল যাওয়ার আগে মাত্র ২ সপ্তাহ অনুশীলন করা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়তে পারেনি। ফিটনেসের ঘাটতি চোখে পড়ে।

ভারতের যুবারা একের পর এক আক্রমণ করে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলে বাংলাদেশের রক্ষণ। ৭৫ মিনিটে গোল দিয়ে তারা ম্যাচেও ফেরে। দুইবার ভারতের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের পোস্ট আর ক্রসবারে লেগে।

দুইবার অল্পের জন্য বাইরে গেছে ভারতের ফরোয়ার্ডদের শট। এক সময়ে মনে হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই ম্যাচ বের করে নেবে ভারত। তাদের ফরোযার্ডদের ব্যর্থতা, বাংলাদেশের ভাগ্য আর রক্ষণভাগের দৃঢ়তা মিলে ম্যাচটি নিয়ে যায় টাইব্রেকারে।

বাংলাদেশের জয়ের নায়ক বদলি গোলরক্ষক আসিফ। তিনি টাইব্রেকারে ভারতের দুটি শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যান ফাইনালমঞ্চে। এক নম্বর গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ আহত হয়ে মাঠ ত্যাগ করলে পোস্ট সামলাতে নেমেছিলেন আসিফ।ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে দায়িত্বটা যেন নিজেই কাঁধে তুলে নেন এই বদলি গোলরক্ষক। টাইব্রেকারে ভারতের নেওয়া প্রথম শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেওয়ার পরই ম্যাচের ভাগ্য কিছুটা ঝুলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে।

বাংলাদেশ টানা ৪ শটে গোল করলে ভারতের শেষ শটটি হয়ে যায় চ্যাম্পিয়নদের জন্য টিকে থাকার শেষ সুযোগ। কিন্তু ভারতকে সেই সুযোগ দেয়নি আসিফ। তাদের পঞ্চম শটটি রুখে দিয়ে কাঠমান্ডুর মাঠে ফাইনালে ওঠার উদযাপন করেন লাল-সবুজ জার্সিধারী যুবারা। টাইব্রেকারে বাংলাদেশের গোল করেছেন পিয়াশ আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ ও পারভেজ আহমেদ।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings