X

ভারতকে হুঁশিয়ারি কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের

বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরির শাস্তির দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ। পরিষদের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভারতের মুসলমানদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ভারত যদি তাদের সেভেন সিস্টার্স রক্ষা করতে চায় তাহলে কটূক্তিকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের পাদদেশে জুমার নামাজ শেষে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কওমি শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারার মাহাদী হাসান বলেন, ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সেভেন সিস্টার্স যদি রক্ষা করতে চাও তাহলে অতি দ্রুত কটূক্তিকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। এ ছাড়া আমরা দেখতে পাচ্ছি গত কয়েকদিন ধরে ভারতের মুসলমানদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ভারতের মুসলমানরা রাস্তায় নেমে এসেছে। ঠিক তেমনি সারা বিশ্বের নবীপ্রেমীরা বাংলাদেশের মতো রাস্তায় নেমে এসে জীবন দিতে প্রস্তুত। ভারতীয় হাইকমিশন ও ভারত সরকারকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক। অন্যথায় বিশ্ব মুসলিম সইবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি মাওলানা জিয়াউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘যখন ভারতের মুম্বাইয়ের মতো এলাকায় আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করা হয় তখন আমাদের বায়তুল মোকাররমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ নেই। ভারতের কুখ্যাত কসাই মোদিকে বলতে চাই, যদি এই কটূক্তি করা পুরোহিতকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হয় তাহলে ভারত খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।’

‘২০১৩ সালে এ দেশের নবীপ্রেমিক মুসলমানরা নবীর ইজ্জতের হেফাজতের জন্য, ইসলামের হেফাজতের জন্য যখন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃত্বে শাপলা চত্বর অবরোধ করেছিল তখন ওলামা-একরাম দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশের সংসদে নাস্তিকদের সর্বোচ্চ বিধান ফাঁসির আইন কার্যকর করতে হবে। ওই আওয়ামী লীগ সরকার, স্বৈরাচার সরকার এক রাতের মধ্যে বাংলাদেশের হাজার হাজার উলামায়ে-কেরামকে হত্যা করে। আজও আমাদের হাজার হাজার ভাই পঙ্গু অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।’

তিনি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে নাস্তিকদের শাস্তির জন্য যে আন্দোলন-সংগ্রাম আপনারা করেছেন, সেই আন্দোলনে এ দেশের হাজার হাজার ওলামায়ে-কেরাম আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে, আপনাদের হাতে হাত মিলিয়েছে, আপনাদের নির্দেশে রক্ত পর্যন্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। আমরা সমাবেশ থেকে বলছি, আপনারা নাস্তিকদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান কার্যকর করার জন্য আবারও যদি ডাক দেন এ দেশের ছাত্র-জনতা আপনাদের পাশে থাকবে।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে একটি মিছিল নিয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings