X

ভিক্ষা এখন বানিজ্য। টার্গেট রমজান ও ঈদ।

রাজধানীতে বর্তমানে তিন
ধরনের ভিক্ষুক দেখা যায়।
এরমধ্যে রয়েছে সাময়িক
সময়ের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল
থেকে ঢাকায় আসা অতিথি
ভিক্ষুক। যারা বিশেষ দিবস বা
দিনকে টার্গেট করে ভিক্ষার
কাজে নামে। এরপর ফিরে যায়
নিজ এলাকায় ও পুরোনো
পেশায়। বছর জুড়ে বিভিন্ন
গণপরিবহন, অফিসপাড়া, বিভিন্ন
মসজিদের সামনে ও বাসা
বাড়িতে  নানা বয়সী নারী-পুরুষ
ভিক্ষাবৃত্তি করেন। এদের অনেকেই সুস্থ্য স্বাভাবিক
হলেও বিভিন্ন বাহানা দিয়ে ভিক্ষা করেন তারা।
এরা মূলত রাজধানীর পেশাজীবী ভিক্ষুক।
এছাড়াও সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র কর্মহীন ও
অসুস্থ্য অনেকেই সহায়তা চেয়ে ভিক্ষা করে
থাকেন। সারাদিন ভিক্ষার অর্থ ও উত্তোলিত
খাদ্যসামগ্রী দিয়েই চলে তাদের জীবন জীবিকা।
ঢাকার স্থায়ী ভিক্ষুকদের কাছ থেকে জানা গেছে,
শব-ই-বরাত, শব-ই-কদর এবং ঈদে পাড়া মহল্লা
ও মসজিদের সামনে অনেক অপরিচিত ভিক্ষুকের
আনাগোনা বাড়ে। বায়তুল
মোকাররম মসজিদের সামনে
থাকা ভিক্ষুক আজগর মিয়া
বলেন, ‘রোজার ঈদ আইলেই
গ্রামেত্তন কতডি মানুষ ঢাহা
আইয়া পরে ভিক্ষা করতো।
তাগো লাইগা আমরা এই মাসে
তেমন ভিক্ষা পাই না। আমরা
সরকারের কাছে আবেদন করি
এইসব ভুয়া ভিক্ষুকদের যেন
জেলে দেয়। আমরেয়া লেংরা
লুলা ভিক্ষা আমাগো অধিকার।
আর ওরা (অতিথি ভিক্ষুক) সুস্থ্য
হইয়াও এক মাসের লাইগা আহে ভিক্ষা করতে।’
সরেজমিনে জানা যায়, রমজান মাস এলেই নগরীর
বিভিন্ন ধরনের ভিক্ষুকের উপদ্রব বাড়ে। সকাল থেকে  মধ্য রাত পর্যন্ত তারা ভিক্ষা করে। অনেকে আবার
এই কাজের সহায়তায় শিশুদের ব্যবহার করেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে ঈদুল ফিতরকে
ঘিরে অতিথি ভিক্ষুকের আধিক্য দেখা যাচ্ছে বলে
জানিয়েছেন নগরবাসী। রোজার শুরু থেকে অতিথি
ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়তে থাকে বলে জানান তারা।

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings