X

ভোজ্যতেলে ফেরেনি স্বস্তি, স্থিতিশীল মাছ ও সবজি

চট্টগ্রাম: রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে মরিয়া জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন। ৪ মার্চ, প্রশাসন কর্তৃক খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনও বাজারে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে, যা ভোক্তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় নারী উদ্যোক্তা আসমা বেগমের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম যেখানে ৩৫০ টাকা হওয়া উচিত, সেখানে দোকানি তাকে ৪০০ টাকা নিচ্ছেন। আসমা বেগম জানান, তিনি দোকানিকে ৫০০ টাকা দিয়েছেন, এবং তিনি ১০০ টাকা ফেরত পেলেও বাজারে তেলের সংকটের অজুহাতে তাকে ৫০ টাকা বাড়তি নিতে হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেলও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, এবং এ অবস্থায় ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অভিযানে প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করলেও, অভিযানের পর এসব দোকানে আগের মতো দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযান পরিচালনা করলে দোকানিরা মূল্য তালিকা ঠিক রাখলেও, অভিযান শেষে পুরনো অবস্থায় ফিরে আসে। এই কারণে ব্যবসায়ীদেরই নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ জানিয়েছেন, ‘আমরা বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, তবে এখনও কিছু ব্যবসায়ী নির্ধারিত দাম মেনে চলছেন না। এই ধরনের আচরণ চলতে থাকলে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’

এদিকে, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘রোজার মাসে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বাড়িয়ে দেয়, যা ভোক্তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। ব্যবসায়ীদের দায়িত্ববান হতে হবে এবং ভোক্তাদেরও প্রয়োজনের বাইরে পণ্য না কিনে সতর্ক থাকতে হবে।’

মুরগি, মাছ ও সবজির দাম: চট্টগ্রামের ঈদগা কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহে মুরগির দাম কমলেও মাছ ও সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা কমে ১৭৫ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২০ টাকা কমে ২৮০ টাকা কেজি হয়েছে। তবে দেশি মুরগির দাম আগের মতো ৫৪০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ও মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। যেমন বেগুন ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, রুই ২৮০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদি দোকানের দামের চিত্র: মুদি দোকানে প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা ১১৫ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, মসুর ডাল ১১০ টাকা (মোটা), ১৩৫ টাকা (ছোট), পেঁয়াজ ৭০ টাকা (ভারতীয়) এবং ৪৫ টাকা (দেশি), রসুন ২৩০ টাকা ও আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এভাবে রমজান মাসে বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings