X

মনোনয়নযুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে ধরনা

কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নযুদ্ধ: প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা

কুমিল্লায় ১১টি সংসদীয় আসনে শুরু হয়েছে বিএনপির মনোনয়নযুদ্ধ। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেন্দ্র এবং স্থানীয়ভাবে সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনগুলোতে বিরাজ করছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব। নির্বাচনী প্রচারণায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব বেড়েছে, বিশেষ করে নাঙ্গলকোট, লাকসাম, দেবিদ্বার, চান্দিনা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার মতো এলাকা গুলোতে।

জেলার বেশিরভাগ মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে লবিং চালাচ্ছেন এবং লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আশপাশের লোকজনের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।

আসন অনুযায়ী মনোনয়নপ্রত্যাশীরা:

  • কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
  • কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা): অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, এমএ মতিন খান ও মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের নাম শোনা যাচ্ছে।
  • কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর): বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ দৃশ্যমান প্রার্থী।
  • কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার): সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, এএফএম তারেক মুন্সি, ব্যারিস্টার রিজবীউল আহসান মুন্সির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
  • কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া): ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাজী জসিম উদ্দিন ও এটিএম মিজানুর রহমান।
  • কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর): হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন ও হাজী মোস্তাক মিয়া।
  • কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা): এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল ইসলাম শাওন।
  • কুমিল্লা-8 (বরুড়া): একক প্রার্থী জাকারিয়া তাহের সুমন।
  • কুমিল্লা-9 (সদর দক্ষিণ-লালমাই-নাঙ্গলকোট): মনিরুল হক চৌধুরী, মোবাশ্বের আলম ভুইয়া ও আব্দুল গফুর ভূঁইয়া।
  • কুমিল্লা-10 (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ): সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম ও আবুল কালাম।
  • কুমিল্লা-11 (চৌদ্দগ্রাম): নিয়াজ মাখদুম মাসুম ও মো. কামরুল হুদা।

মনোনয়ন পেতে প্রার্থীদের দৃষ্টি: মোনোনয়নপ্রত্যাশীরা কঠোর যাচাই বাছাইয়ের আশঙ্কায় রয়েছেন। দলের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার প্রার্থীদের পারফরম্যান্স, জনসম্পৃক্ততা, আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণসহ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির প্রার্থীরা তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং লবিংয়ের মাধ্যমে দলের হাইকমান্ডের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাইছেন।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings