X

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত -১ আহত-৫ জন

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সদরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু আহমেদ (৩৭) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। গতকাল সোমবার দুপুরে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক গ্রুপিং এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত লাভলু আহমেদ ২০০৩ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত চার মাস আগে কুয়েত থেকে দেশে ফিরে লাভলু আহমেদ বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। নিহত লাভলু কুস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। আহতরা হলেন, কুস্তা গ্রামের মৃত দীন ইসলামের ছেলে রাহাতুজ্জামান খান আলতাফ, একই গ্রামের শওকত দর্জির ছেলে হিমেল দর্জি, মো: আফিকুল ইসলাম, ঘিওর উপজেলা মোড় এলাকার বাসিন্দা মো: রফিকের ছেলে সোহাগ (২৫), আজাদ খানের ছেলে তামিম (২৫) ও শাহ আলমের ছেলে মো: সেলিম (২৮)।

আহতদের ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ঘিওর উপজেলা সদরে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। যে কোন সময় আরো বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার এবং রাজনৈতিক কোন্দল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। এ নিয়ে কয়েক দফা মারামারি, শালিস বৈঠক ও হামলা-ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছিল। অপর এক সূত্র জানানয়, এলাকার ক্ষমতা আর আধিপত্ত বিস্তারের জের ধরে ঘিওর সদর (উপজেলা মোড়) ও কুস্তা গ্রামের বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দও কয়েক দফায় আলোচনা করে মিমাংশা করে দিয়েছেন। নেতাদের সামনে সমঝোতা হলেও আড়ালে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েই যায়।

আজ সোমবার বেলা বারোটার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘিওর বাসষ্ট্যান্ডে কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা যুবদলকর্মী আলতাফকে উপজেলা মোড় এলাকার সোহাগ, তানভীর, বাবু, শীতল, তামিম, সেলিমসহ আরো কয়েকজন বেধড়ক পেটায়। আহত আলতাফকে তার চাচা লাভলু আহমেদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে যান। দুপুর একটার দিকে হাসপাতালের গেটে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে লাভলুর উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে লাবলু ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। আহত আলতাফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস,এ কবির জিন্নাহ বলেন, দলীয় ভাবে এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘিওর থানা পুলিশের নিস্কৃয়তার কারনেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লাভলু আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। কয়েকজন আহত আছে। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings