X

মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ঝড়ে রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। ১৬তম ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান তুলে সেই সমীকরণ সহজ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান নেন ফাহিম আশরাফ। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারের এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে দুর্বার রাজশাহী। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জিশান আলম। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। ৫ বলে ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।

১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন কাইল মেয়ার্স। গত আসরে দুর্দান্ত খেলা এই ক্যারিবিয়ান এবার শুরুর ম্যাচেই ব্যর্থ। ৫ বলে ৬ রান করা এই হার্ডহিটারকে রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

৩০ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। সেই বিপদ আরো বাড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম-তাওহিদ হৃদয়রা। দুজনই শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করে আফ্রিদি ফিরলে ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এই জুটিতে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বরিশাল।

এরপর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সমীকরণ মেলানোয় মনোযোগ দেন। তাতে সফল দুজনই। ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর ফাহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৫৪ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জিসান আলমকে হারায় রাজশাহী। এই ওপেনার ডাক মারায় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজশাহীকে। কাইল মায়ার্সের বলে ইনসাইড এজে তিনি হয়েছেন বোল্ড। অপর ওপেনার পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস কিছুটা আভাস দিয়েছিলেন ঝড়ের। কিন্তু মায়ার্সের স্লোয়ার বলে টাইমিং গড়বড় করে হয়েছেন আউট। দলীয় ২৫ রানেই ২ উইকেট হারায় দুর্বার রাজশাহী। কিন্তু এই বিপর্যয়ের পরেই যেন ঝড় তোলা শুরু করে রাজশাহী।

অধিনায়ক এনামুল বিজয় পেয়েছেন এবারের বিপিএলের প্রথম ফিফটি। ৪১ বলে পূরণ করেন অর্ধশতক। খানিক পরেই তাতে যোগ দেন ইয়াসির রাব্বিও। দুজনে ৮৭ বলে করেছেন ১৪০ রানের বড় জুটি। বিজয় ৬৫ রানে ফিরলেও ইয়াসির রাব্বি ছিলেন অপরাজিত। বরিশালের রিপন মন্ডলের ওপরেই ঝড় গিয়েছে বেশি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings