আমি, এ.কে.এম কামরুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী, বিসিক, বরিশাল — আমার বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত “অবৈধ সম্পদ অর্জন” সংক্রান্ত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যার সাথে আমার কোনো বাস্তবিক সম্পর্ক নেই।দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে পার্শ্ববর্তী শরিকদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নানা মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে এবং আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আরো জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে বারবার চাকরি হারানোর হুমকি দিয়েছে এবং আমার বসতবাড়ি উচ্ছেদের ভয়ও দেখিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, গত ০৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে কিছু নামসর্বস্ব, অখ্যাত অনলাইন পত্রিকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করে। কিছু কথিত সাংবাদিক একাধিকবার আমাকে ফোন করে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেয়। আমি সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা হুমকি দেয় যে, আমার বিরুদ্ধে একের পর এক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করা হবে এবং এসব তথ্য নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দাখিল করা হবে।
এই ভয়ভীতি ও মানসিক হয়রানির কারণে আমি গত ০৮/০৫/২০২৫ ইং তারিখে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত সংবাদে প্রকাশিত সকল তথ্যই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রমাণিত হয়েছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সংবাদ আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রমূলক প্রয়াস। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও পত্রিকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছি। সেই সাথে অনুরোধ করছি, উক্ত পত্রিকা যেন তাদের প্রকাশিত সংবাদের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করে।
এ.কে.এম কামরুজ্জামান
সহকারী প্রকৌশলী, বিসিক
বরিশাল