X

মিয়ানমারের দুই নাগরিক জানালেন তাঁদের অভিজ্ঞতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

‘আমি শুধু একটি বাড়ির মালিক হতে ও ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলাম। আর সে কারণেই আমার কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই।’ বিবিসিকে কথাগুলো বলছিলেন জেয়া (ছদ্মনাম)। তিনি মিয়ানমারের একটি খামারে কাজ করেন। মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর লড়াই শুরু হয়। এর পর থেকে দেশটিতে পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এতে নিজের ছোট্ট পরিবারের খরচ চালাতেও হিমশিম অবস্থায় পড়েন জেয়া। পরিবারের সদস্যদের জন্য আবশ্যকীয় খাবারটুকুও ঠিকমতো জোগাড় করতে পারছিলেন না। তখন গ্রামে তাঁরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। ইয়াঙ্গুন শহর থেকে গ্রামটিতে যেতে কয়েক ঘণ্টা লাগে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বেকারত্ব বেড়েছে। সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সরে গেছেন। ইউএনডিপির তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারে জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছিলেন। ২০২৩ সালের মধ্যে তা বেড়ে অর্ধেকে পৌঁছেছে। জেয়া (ছদ্মনাম) স্থানীয় এমন কয়েকজনকে চিনতেন, যাঁরা তাঁদের একটি করে কিডনি বিক্রি করেছিলেন। তাঁদের দেখে জেয়ার কাছে সুস্থই মনে হতো। আর সে কারণে তিনিও আগ্রহী হয়ে ওঠেন নিজের কিডনি বিক্রি করতে। পরে এ ব্যাপারে নেওয়া শুরু করেন খোঁজখবর। বিবিসিকে জেয়া বলেন, তিনিসহ ওই গ্রামের আটজন ভারতে গিয়ে একটি করে কিডনি বিক্রি করেছেন। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য এশিয়াজুড়েই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে এ প্রক্রিয়া চলে, তা মিয়ানমারের নাগরিক জেয়া ও মিয়ো উয়িন নামের

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings