X

মুরগির সাদা ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধের উপায়

গ্রামের জনজীবনে স্বচ্ছলতা আনতে মুরগি পালনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি অনেকের আয়-রোজগারের অন্যতম মাধ্যম। তবে অনেক সময় খামারির মুরগি অসুস্থ হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে মুরগির সাদা ডায়রিয়া দেখা দিলে। আজ তাই জেনে নিন সাদা ডায়রিয়া রোগ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়।

সাদা ডায়রিয়া কী

সাদা ডায়রিয়া প্রধানত মুরগির বাচ্চার হয়। ফলে বেশিরভাগ বাচ্চা মারা যায়। পরে এটি মুরগির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত ডিমের ভ্রূণ মারা যায়। এতে মুরগির মলের রং সম্পূর্ণ সাদা হয়। মলত্যাগের সময় অনেক ব্যথা অনুভব করে। সেই সঙ্গে অনেক সময় অন্ধ বা খোঁড়া হয়ে যায়। মুরগি ও বাচ্চার পেছনের অংশ আঠালো হয়ে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

এ রোগের ওষুধ যে কোনো পশুচিকিৎসা দোকানে পাওয়া যায়। মুরগি ও বাচ্চাকে ডোজ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। যদি ৫টি মুরগি বা ২০টি বাচ্চাকে ওষুধ দেন, তাহলে ১ কাপ পানিতে ২ চিমটি ওষুধ গুলে নিন। অসুস্থ বাচ্চাকে ২-২ ফোঁটা এবং একটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে ৫-৫ ফোঁটা মুরগিকে পরপর ৩ দিন দিতে হবে।

দ্রবীভূত ওষুধ
আপনার মুরগি বা বাচ্চাকে পানিতে গুলে ওষুধ দিতে পারেন। এ পদ্ধতিতে ১ বাটি পানিতে প্রায় ৪ চিমটি ওষুধ গুলে ৪০টি বাচ্চা বা ১০টি মুরগির ঘরে রাখতে হবে। পাত্রে ওষুধটি থাকা পানি টানা ২ দিন রাখতে হবে। এ ছাড়া আক্রান্ত বাচ্চা বা মুরগিকে এ ওষুধ মেশানো পানি খাওয়াতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ
রোগ প্রতিরোধ করতে মুরগির ঘর ও আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। এ ছাড়া মুরগি এবং ছানাদের ন্যূনতম পরিমাণে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার বা লিক্সেন পাউডার বা ফুরাসোল পাউডার খাওয়ালে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings