রংপুর নগরীর 12 নং ওয়ার্ড রাধাকৃষ্ণপুর
বাগান বাড়ী জামে মসজিদের পশ্চিম দিকে মৌলুভী পাড়ার ৩ কিলো মিটার পাকা রাস্তার কাজ চলমান , স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ইস্টিমেট অনুযায়ী হচ্ছেনা এই কাজ।১/১ খোয়া ও বালুর মিশ্রনের ইস্টিমেট থাকলেও ঠিকাদার ৪/১ সমপরিমান মিশ্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ এলাকা বাসীর।
তবে ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের যোগসাজেসেই ঠিকাদার ব্যাপক হাড়ে কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয়রা ।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় যে এই সড়ক নির্মাণ কাজের তদারকিতে রয়েছেন ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ছেলে এডভোকেট রাশেদুজ্জামান রাসেল,পালক পুত্র রবি ও আহাদুল ইসলাম, গং।
তথ্যমতে খোয়া ও বালুর মিশ্রিত স্থানে গেলে সেখানে সিটি কর্পোরেশনের সহকারী উপ প্রোকৌশলী আব্দুল বাকির উপস্থিতি পাওয়া যায়।
তার উপস্থিতিতে তৈরীকৃত মিশ্রিত খোয়া বালুর বিশাল স্তূপ পাওয়া গেলেও,স্তূপে ইটের খোয়ার অংশ চোখে পড়ার মত নয়।
এ যেনো শুধু বালুর স্তূপ বলে মনে হয়, এবং এই খোয়াও মান সম্মত নয়, শাল্টি, আদলা, ও পিকইট নিয়ে ভেঙে খোয়া হিসেবে চালানো হচ্ছে,, আব্দুল বাকির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই মিশ্রিত স্তূপ সম্পূর্ণ রূপে নিয়মের মধ্যেই হয়েছে,এবং তা ইস্টিমেট অনুযায়ী ১/১ খোয়া ও বালুর মিশ্রণ এতে কোনো সন্দেহ নেই।এবং এই খোয়াও মান সম্মত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন,ইস্টিমেট কপি চাইলে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। এবং এই মিশ্রিত খোয়া ও বালুর পরিমাপ ল্যাবে পরীক্ষা করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই, এদিকে গণমাধ্যম আসার আগেই অডিট অফিসারদের ইনফর্ম করেন বলেও জানান তিনি, এবং বলেন অডিট অফিসার দেখে যদি মনে করেন এটা অনিয়ম তাহলে নিশ্চই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন তারা । এক পর্যায় গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অনীহা প্রকাশে ফোন করে ঠিকাদার কামরুজ্জামানকে আসতে বললে তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ঠিকাদার কামরুজ্জান গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে অনেকটাই ভাব নিয়ে বলেন অনেক বড় বড় সাংবাদিক তার পরিচিত, এই বলে ২/৩ জন সাংবাদিককে ফোন করে উপস্থিত সাংবাদিকদের পরিচয়ও জানতে চান তিনি ।
ও পিঠে কে কি বলেছে তা জানা না গেলেও পরে রংপুর প্রেসক্লাব’র মোশারফ হোসেন রাজু কে ফোন দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকের সাথে কথা বলিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি ঠিকাদার কামরুজ্জামানের , ও পিঠে থাকা সাংবাদিক রাজু বলেন বর্তমান ঠিকাদারী পেশায় লাভের থেকে লোকসান অনেক বেশি,সিটি কর্পোরেশনের কাজের দুর্নীতি খুব একটা হয়না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে কামরুজ্জামান তার সুপরিচিত এবং অনেক ভালো মানুষ বটে, একপর্যায় উপস্থিত সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক তথ্য প্রমান থাকলে সংবাদ প্রচারে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
পরে ঠিকাদার কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের হেও করে বলেন যা করার করেন, অনেকদিন পত্রিকায় সংবাদ পড়া হয়না এবার দেখবে ও পড়বেন বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে ইট বালু মিশ্রিত বোঝাইকৃত ৬ টি ট্রলী ফেরত আসলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলে বলে, এই সব মিশ্রিত মালে অনেক অনিয়ম আছে,এসব ইস্টিমেট অনুযায়ী হয়নি, তাই অডিট অফিসার এসে নিষেধ করে এবং ট্রলী ফেরত পাঠান,ঘটনাস্থলে ১১/১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহদয় উপস্থিত ছিলেন।
ট্রলী ড্রাইভার আরও বলেন এভাবে প্রতিটি ট্রলী
সারাদিনে ৮/১০ গাড়ি করে মাল ফেলেছেন , তারমধ্যে প্রথম একটি করে ৬ গাড়ি মাল ফেরত দেয়া হলো। এর বেশি কিছু জানেনা ড্রাইভার।
ড্রাইভারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে অডিট অফিসার ও কাউন্সিলর মহদয়দের পাওয়া না গেলেও,স্থানে ঠিকাদারের সাইড ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন,
তার কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছুই বলতে রাজি নন,তিনি জানান আজ এই ঠিকাদার তো কাল ঐ ঠিকাদার এভাবেই সাইড দেখাশোনা করেন তিনি,তাই কারো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নন তিনি।
একপর্যায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব ও ক্যামেরার সামনে নিজেকে আড়াল করতে দ্রুত স্থান থেকে সরে জান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানিও সচেতন এক ব্যাক্তি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামনে থেকেও এই অনিয়ম ঠেকায়নি, সাধারণ জনগন সেখানে অপারক, ঠিকাদার যতটা অনিয়ম করেছে তাতে এই ৩ কিলোমিটার রাস্তার সাবব্যাচের মিশ্রনে আনুমানিক ২৫/৩০ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ করতো।
সেটা সাংবাদিকদের কারণে অডিট অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ার মহদয় এসে কাজ বন্ধ করে দেন।
তবে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি পরায়ণ ঠিকাদার কে বাতিল করে ভালো কোনো ব্যাক্তিকে এই টেন্ডার দেয়া উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন
