ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: রমজান মাস শুরুর আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গরু-খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগি, লেবু ও ছোলার মতো রোজার সময় জনপ্রিয় খাদ্যসামগ্রীর দাম উর্ধ্বমুখী। বাজারে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন, আর ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ সংকট ও পাইকারি বাজারের দাম বৃদ্ধির কারণেই এমন অবস্থা।
বাজারে পণ্যের বর্তমান দাম রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাংস ও রোজার উপকরণের দাম বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
? গরুর মাংস – কেজিপ্রতি ৮৫০-৯০০ টাকা (পূর্বে ছিল ৭৫০-৮০০ টাকা)
? খাসির মাংস – কেজিপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা (পূর্বে ছিল ১১০০-১২০০ টাকা)
? ব্রয়লার মুরগি – কেজিপ্রতি ২২০-২৪০ টাকা (পূর্বে ছিল ১৮০-২০০ টাকা)
? দেশি মুরগি – কেজিপ্রতি ৫০০-৫৫০ টাকা
? লেবু – হালি প্রতি ৫০-৬০ টাকা (পূর্বে ছিল ৩০-৪০ টাকা)
? ছোলা – কেজিপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকা (পূর্বে ছিল ১১০-১২০ টাকা)
বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় এবং চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, “রমজানের আগেই পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”তবে ক্রেতারা বলছেন, “প্রতিবারই রমজানের আগে দাম বাড়ানো হয়। এটা ব্যবসায়ীদের কৌশল, সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে রোজার বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।”
রমজান শুরুর আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য চাপ তৈরি করছে। বাজার মনিটরিং বাড়িয়ে ও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।