ক্রীড়া প্রতিবেদক : রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেরও দিক পাল্টে গেছে। অন্যসব সেক্টরের মতো ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতেও সংস্কারের দাবি উঠেছে। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে অন্যান্য ফেডারেশনকে দুর্নীতি ও রাজনীতিমুক্ত করতে আন্দোলনে সরব হয়েছেন সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ও দুর্নীতি ও রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের সংখ্যা কমিয়ে খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের ফেডারেশনগুলোতে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সরকার পরিবর্তনের পর বেশির ভাগ ফেডারেশনেরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই মুহূর্তে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। সভাপতিদের বেশির ভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি, সাধারণ সম্পাদকরাও সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে। তাঁদের বিরুদ্ধে ছিল দুর্নীতির অভিযোগও। এই সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফেডারেশনগুলোতে রদবদল আনার উদ্যোগী হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থাও করা হবে। এরই মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে ফেডারেশনগুলোতে অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পরই ফেডারেশনগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি দেওয়া হতে পারে।
আমাদের প্রত্যেক ফেডারেশনের যে গঠনতন্ত্র আছে, সেগুলো (গঠনতন্ত্র) যেন গণতান্ত্রিক হয়, একনায়কতন্ত্র চর্চার সুযোগ না থাকে, সেগুলোও প্রভাবমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি নিয়ে বিগত কয়েক দিন বিসিবি প্রাঙ্গণে সরব ছিলেন সংগঠকরা। ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টনসহ অন্যান্য ফেডারেশনের সামনেও হয়েছে মানববন্ধন।
বিশেষ করে ক্রিকেটের দুর্নীতির বিষয়টি ইঙ্গিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা এরই মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি ও অন্যায়ের অভিযোগগুলো রয়েছে, সেসব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এ বিষয়গুলোতে আমরা তদন্ত করব এবং যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আমি এরই মধ্যে বিসিবির সংশ্লিষ্ট এবং ক্রিকেটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।’