X

রাবিতে দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

বিভাগ কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃতভাবে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের ইন্টার্ণ শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে।
সোমবার কমর্বিরতি ঘোষণ করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানায় আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুষদ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন শিক্ষার্থীরা। এসময় দাবি মেনে না দিলে অনুষদে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনরত ভেটেরিনারি বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের ইন্টার্ণ শিক্ষার্থী, মো. জাকির হোসেন বলেন, সারা দেশের ভেটেরিনারি পড়ুয়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের  শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবিষয়ে  অবগত থাকার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ব্যাচকে বিপদে ফেলতে এই ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নতুন নিয়ম তৈরি করে আমাদের বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পন্ড করেছেন।
এই বিষয়ে উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, ডিপার্টমেন্টের ১৬ ব্যাচকে আমাদের শিক্ষাগুরুরা বরাবরই বেয়াদব আখ্যায়িত করে। যখনই কোনো ন্যায্য দাবি করছি সেটি প্রত্যাখ্যান করছেন এবং বিভিন্নভাবে তাদের কাছে গিনিপিগের মতো ব্যবহৃত হয়েছি। সারাদেশে ভেটেরিনারি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যেখানে ৪৭ তম প্রিলিমিনারি পরিক্ষায় আংশগ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে, আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। বার বার অনুরোধ করেও কাজ না হওয়ার আজ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।
বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী, সাহিদুজ্জামান শাহিদ বলে, অন্যান্য  বিষয়গুলোতে  স্নাতক শেষ করতে যেখানে ৪ বছর সময় লাগে সেখানে  ডিভিএম এ ৫ বছর সময় লাগে। আমরা এমনিতেই অন্যদের তুলনায় একটা বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ কম পায়। তারপরেও  ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে  স্যাররা আমাদেরকে ৪৭ তম প্রিলি থেকে বঞ্চিত করার  সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানাই এবং  তাদের এই  নির্মম সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষক শশী আহমেদ বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা এখানে বসে আছে এটা দেখতে আমার খারাপ লাগছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে তারা যে কর্মসূচি পালন করছে, যে দাবি নিয়ে তারা বসেছে তা সঠিক এবং আমি তাদের পক্ষে আছি। আমি চায় তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হোক, কারণ পাঁচ বছরের কোর্স এবং অনেক সময় সেশন জটের কারণে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যায়। সে কারণে আমি মনেকরি তারা যে দাবি নিয়ে বসেছে তা মেনে নেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনকে আরো কঠোর করার হুশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings