X

‘লাল কেল্লা আমাদের’ হাইকোর্টে দাবি মুঘল বংশধরের পুত্রবধূর

সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রাচীর-বেষ্টিত পুরোনো দিল্লি শহরে একটি কেল্লা নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। পরবর্তী সময়ে সেই কেল্লার নামই হয় ‘লাল কেল্লা’।

১৮৫৭ সাল পর্যন্ত দুর্গই ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। বংশ পরম্পরায় শাসন করেছেন তারা। এরপর শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসিত করে ভারতের রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরিত করে ব্রিটিশ সরকার। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি সামরিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করতেন। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক। দিল্লি শহর থেকে দুর্গটির দূরত্ব ২ কিলোমিটার।

প্রতি বছর ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাল কেল্লার লাহোরি গেটসংলগ্ন একটি স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বক্তব্য দেন। ২০০৭ সালে লাল কেল্লা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।

মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর-১১ এর প্রপৌত্রের পুত্রবধূ সুলতানা বেগম দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে তিনি দাবি করেন, লাল কেল্লা তাদের, তাই তাকে সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হোক।

গত শুক্রবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিভু বাখরু এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেআইনিভাবে দখল করা লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুলতানা বেগম। পরে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আড়াই বছরের বেশি সময় পর এই আবেদন করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। সুলতানা বেগম আবেদনে জানান, তার অসুস্থতার জন্য এবং তার মেয়ের মৃত্যু হওয়ায় আবেদন জানাতে পারেননি। পরে তার আবেদন অপ্রাসঙ্গিক বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

অ্যাডভোকেট বিবেক মোরের মাধ্যমে দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয়, ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, ব্রিটিশরা তার পরিবারকে তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া লাল কেল্লার দখল জোর করে মুঘলদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আরও দাবি করা হয় সুলতানা বেগম লাল কেল্লার মালিক কারণ তিনি তার পূর্বপুরুষ বাহাদুর শাহ জাফরের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। বাহাদুর শাহ জাফর (দ্বিতীয়) ১৮৬২ সালের ১১ নভেম্বর ৮২ বছর বয়সে মারা যান।

পিটিশনে আরও বলা হয়, আবেদনকারীর কাছে লাল কেল্লার অধিকার হস্তান্তর করতে হবে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১৮৫৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সরকার যে লাল কেল্লা দখল করেছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় আবেদনে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings