সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মা লিমিটেড শীর্ষে অবস্থান করেছে। কোম্পানিটির বিশাল লেনদেন বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এদিন সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শেয়ারবাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের ক্রয়চাপ এবং বাজারে কোম্পানিটির প্রতি বাড়তি আস্থা এর প্রধান কারণ।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকার। তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস, যার মোট লেনদেন ছিল ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এদিন লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আরও স্থান পেয়েছে:
ফাইন ফুডস লিমিটেড: উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
খান ব্রাদার্স: গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় এদিনও লেনদেনের শীর্ষে স্থান ধরে রাখার প্রচেষ্টা করেছে।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ: শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
খুলনা প্রিন্টিং: সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও বাজার কৌশল এর লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আফতাব অটো: স্বয়ংক্রিয় খাতের অন্যতম প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ কেড়েছে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক: শেয়ারবাজারে ধীরগতির মাঝেও লেনদেনের তালিকায় উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রেখেছে।
জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: তুলনামূলকভাবে ছোটখাতের প্রতিষ্ঠান হলেও শেয়ার লেনদেনে স্থির অবস্থান বজায় রেখেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেন্ট্রাল ফার্মার এই উল্লেখযোগ্য লেনদেন তার আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রতিক কার্যক্রমের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির প্রতিফলন। এছাড়া, অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সক্রিয় লেনদেন বাজারে তারল্যের প্রমাণ দেয়।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামগ্রিকভাবে লেনদেনের এ ধারা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক সংকেত। তবে তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, বিনিয়োগের আগে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এটি বাজারের ক্রমবর্ধমান গতিপ্রকৃতির একটি ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরে, যা ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ও সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।