X

শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় ৩ আসামি রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।

এদিন কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এসময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

এর আগে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য শনিবার দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ মে রাত পৌনে ১২টায় সাম্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। ফেরার পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের কাছে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছান। তখন অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামি তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে ভুক্তভোগী সাম্যের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তখন সাম্য ও তার দুই বন্ধু আসামিদের কাছে মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।

পরে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামি সাম্য ও তার বন্ধুকে ইট দিয়ে আঘাত করেন। তাদের কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এদের মধ্যে একজন আসামি সাম্যকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ের ডান রানের পেছনে উপর্যপুরী আঘাত করেন। তার বন্ধু মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদের ডান হাতের কব্জির ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাম্য মাটিতে পড়ে গেলে এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদের ভয়ভীতি ও হমকি প্রদান করে চলে যায়। পরে সাম্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

firoz:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings