X

সহিংসতার কারণে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পণ্য সরবরাহব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক ছিল। এরপর আবার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতার কারণে গত তিন দিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলও কমে গেছে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটে লুটপাট ও ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে। অনেক দোকানদারের কাছে দুর্বৃত্তরা চাঁদা দাবি করছে। সহিংসতার সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়। হামলা ও আগুনের পর ঢাকার বেশির ভাগ থানায় এখন পুলিশ নেই। এই সুযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর, বছিলাসহ এক দল লোক দেশি অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন বাসায় হামলা করে। জোরপূর্বক বাসার মূল ফটক খুলে তারা নগদ টাকা, অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। এতে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ‘দেশে যদিও এখন একজন রাষ্ট্রপতি আছেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সোমবার দুপুর থেকে দেশে একটা সরকার অনুপস্থিত। সামরিক বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরায় চালুর জন্য পুলিশকে সহায়তা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অটরোরিকশাকে ধাক্কা দেওয়া বাসটিকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালাপুর এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কালাপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নাজমা বেগম (৪০), তাঁর বোনের ছেলে হাসাইন আহমেদ (২২) ও ভাইয়ের ছেলে ফাহাদ আহমেদ (১২)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুণা গ্রামে। আহত দুজনের মধ্যে

একজন অটোরিকশাটির চালক এবং অপরজন নাজমা বেগমের আরেক স্বজন। আহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজন মো. সোলেমান প্রথম আলোকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নাজমা বেগমসহ তাঁদের পরিবারের চারজন উপজেলার বরুণা থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাপুর এলাকায় শ্রীমঙ্গল-শেরপুর রুটের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই শিশু ফাহাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন অটোরিকশার চালকসহ আহত অপর চারজনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে নাজমা বেগম ও হাসাইন মারা যান। আহত বাকি দুজন এখন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

 

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings