X

সাওদা মুমিনের ‘কীর্তিমান শিক্ষাবীদ এম এ গফুর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমজমাট পরিবেশে বিশিষ্ট লেখিকা, গল্পকার ও শিক্ষক সাওদা মুমিনের লেখা ‘কীর্তিমান শিক্ষাবীদ এম এ গফুর’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব পূর্ব লন্ডনের সেকেন্ডারী স্কুল লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভাপতিত্ব করেন ক্রয়ডন কাউন্সিলের সাবেক মেয়র, কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির। উপস্থাপনা করেন টিভি প্রেজেন্টার হেনা বেগম।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্ষ্ট সেক্রেটারী ওয়ারিসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখিকা অধ্যাপিকা রেহেনা রহমান, সাংবাদিক ও কমিউনিটি সংগঠক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, রাজনীতিবিদ নুরুল হক লালা মিয়া, ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী তাইছির মাহমুদ, কাউন্সিলার ফয়জুর রহমান, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, টাওয়ার হেমলেস এর সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলার রিচার্ড চেটারজী প্রমুখ।

সভায় আরো আলোচনা করেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী টিচারস এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হোসেন, সৈয়দ আবুল বাশার, ড. মুমিনুল হক, প্রবীণ সাংবাদিক পল ট্রেভর, জুবায়ের কবির সহ বিভিন্ন আলোচকবৃন্দ ।

উপস্থিত অতিথিরা প্রয়াত এম এ গফুরের স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিশেষ করে এরালিয়া বাজার হাইস্কুল ও ব্রিক লেন মসজিদ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অনন্য অবদান, টিলাগড় জামে মসজিদের সম্প্রসারণসহ তাঁর অসামান্য অবদানগুলো আলোচনায় উঠে আসে।

লেখিকা সাওদা মুমিন তাঁর কীর্তিমান পিতার জীবন ও কর্ম নিয়ে বইটি লিখেন। বইটি ইংরেজী ও বাংলা ভাষায় রচিত।এটা একটি স্মারক গ্রন্থের মতো। বিভিন্ন লেখক লেখিকার স্মৃতিচারণ মূলক অনেক লেখা বইটিতে স্থান পেয়েছে। এই বইটির মাধ্যমে সাওদা মুমিন তাঁর পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী আব্দুল গফুরের জীবন ইতিহাস তুলে ধরেছেন। মরহুম মোহাম্মদ আব্দুল গফুর ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তিনি বাংলাদেশে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘকাল প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর হাজার হাজার ছাত্র ছডিয়ে আছেন দেশে বিদেশে। তিনি আব্দুল গফুর বিএবিএড নামে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে বৃটেন আসেন। এদেশে এসে প্রাইমারী স্কুলের গভর্নর, ব্রিকলেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। নিজ সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। প্রয়াত এম এ গফুরের বড় ছেলে ক্রয়ডনের সাবেক মাননীয় মেয়র, কাউন্সিলর হুমায়ুন কবীর, তাঁর কন্যা ও গ্রন্থের লেখিকা সাওদা মুমিন এবং কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জুবায়ের কবীর।

বইটিতে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য ও দূস্প্রাপ্য ছবি সন্নিবেশিত হয়েছে। আব্দুল গফুর ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। মসজিদের দীর্ঘকাল মোতাওয়াল্লী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে সিলেট শহরে ইন্তেকাল করে। বাড়ী ছিল জগন্নাথপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে ও শশুড় বাড়ি ছিল হাছন ফাতেমাপুর গ্রামে। তাঁর চাচা শশুড় ছিলেন মরহুম আইয়ুব আলী মাষ্টার।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings