X

সাদপন্থিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কাকরাইলে অবস্থানের ঘোষণা

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে রাতের অন্ধকারে হামলায় জুবায়ের পন্থির (শুরায়ে নেজামী) তিন মুসল্লি নিহত ও চার শতাধিক আহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাবলীগ জামায়াতের শুরায়ে নিজামী।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাবলিগ জামায়াতের আলেম ও উত্তরা জামিয়াতুল মানহালের প্রিন্সিপাল কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।

তিনি বলেন, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরায়ে নেজামীর অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরে সাদপন্থিরা একই কায়দায় একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলিগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থিরা তাবলিগি নয় বরং তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সঙ্গে আরও বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাতে টঙ্গির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অবস্থার দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা যোগসাজশ করে সাদপন্থিদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীল নকশা করেছিলো। তাদের এ নীল নকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরাইলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আক্রমণকারী সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের হামলার সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings