বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে সাত বছর গভর্নরের দায়িত্বে থাকা আতিউরের বিরুদ্ধে বিগত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করার অভিযোগও খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এ অনুসন্ধান শুরুর বিষয়ে গণমাধ্যমকে তথ্য জানান।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি। অবশ্য সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে বিগত দেড় দশকে ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ঋণখেলাপিদের ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি, রিজার্ভ চুরি, হলমার্ক জালিয়াতি, এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির সুযোগ করে দেওয়া।
দুদক এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে আগের দুই সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও ফজলে কবির, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও আবু ফারাহ মো. নাসের, বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও কাজী সায়েদুর রহমানের দায়িত্ব পালনের সময়কার বিভিন্ন তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
পটপরিবর্তনের পর সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদক জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্সের ঋণ জালিয়াতি করে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে।
এতে ওই সময় জনতা ব্যাকের চেয়ারম্যান আবুল বারাকাতকেও আসামি করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পাঁচ মাসের মাথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে চার বছরের জন্য দায়িত্ব পান আতিউর রহমান। এরপর তাঁকে আরো এক মেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২ আগস্ট তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সমালোচনার মুখে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়।