X

সিরিয়াকে কখনই ভাঙতে দেবে না তুরস্ক: হুঁশিয়ারি এরদোয়ানের

বিদ্রোহীদের তড়িৎগতির আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমান হামলা জোরদারের পাশাপাশি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংক ইতোমধ্যে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর মাঝেই মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সিরিয়াকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুঁশয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘‘সিরিয়াকে আর কখনই ভেঙে ফেলতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি সিরীয় ভূখণ্ডের অখণ্ডতা নিয়ে আপস করতে চায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তুরস্ক।’’

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এই মুহূর্ত থেকে আমরা সিরিয়াকে আবারও বিভক্ত হতে দিতে পারি না… সিরিয়ার জনগণের স্বাধীনতা, নতুন প্রশাসনের স্থিতিশীলতা এবং সিরীয় ভূমির অখণ্ডতার ওপর যে কোনও ধরনের আক্রমণ হলে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো।’’

এর আগে সিরিয়ার ‘‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার’’ প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গোলান মালভূমিতে জাতিসংঘের নির্ধারিত বাফার জোন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রবেশের নিন্দা জানায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘‘সিরিয়ার জনগণ বহু বছর ধরে যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আকাঙ্ক্ষা করে আসছে, বর্তমানে তা অর্জনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু মর্মান্তিক বিষয় হলো স্পর্শকাতর এই সময়ে ইসরায়েল আবারও তার দখলদার মানসিকতা প্রদর্শন করছে।’’

আসাদের পতনে বিপদে ইরান, সামনে কী?
সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের একটি পার্বত্য অঞ্চল হলো গোলান মালভূমি। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের এক যুদ্ধে এই মালভূমির বেশিরভাগ এলাকার দখল নিয়েছিল ইসরায়েল। পরবর্তীতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলটিতে বাফার জোন নির্ধারণ করা হয়।

কোন পথে সিরিয়া?
বিদ্রোহীদের আন্দোলনে টিকতে না পেরে গত ৮ ডিসেম্বর পরিবারসহ রাশিয়া পালিয়ে গেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আল-আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের শাসনের অবসান ঘটেছে।

আসাদের পতনের পরপরই দীর্ঘ ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো সিরীয় সীমান্তের বাফার জোন এলাকায় প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলি সৈন্যরা সাময়িক সময়ের জন্য সেখানে প্রবেশ করেছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের শীর্ষ কূটনীতিক গিডিয়ন সার বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েলি সৈন্যরা ‘সীমিত ও অস্থায়ী পদক্ষেপের’ অংশ হিসেবে বাফার জোনে প্রবেশ করেছে।’’

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings