X

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন

বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন সন্দরবন। জীববৈচিত্র্য ভরা এ বনের রয়েছে অর্থনীতিতে গুরুত্বপর্ণ ভমিকা। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে সন্দরবনের
অবদান বছরে সাড়ে পাচ হাজার কোটি টাকা। তবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এখন সঙ্কটাপন্ন। জলবায় পরিবর্তন,দষণ,শিকার,গাছকাটা, সচেতনতার অভাব এবং কর্তপক্ষের উদাসীনতায় হারিয়ে যা”েছ বনের মল্যবান প্রাণি ও সম্পদ। সন্দরবন বিশ্বের একক বহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। বিশ্বে বিরল প্রজাতির বাঘ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের একমাত্র আবাসভমি এই সন্দরবনে। বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৪.২ শতাংশ এবং মোট বনাঞ্চলের ৪৪ শতাংশ জড়ে থাকা এ বনের প্রাকতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। মল্যবান
প্রানীজ, জলজ ও বনজ সম্পদ মিলে অফরন্ত প্রাকতিক সম্পদের আধার। এই সন্দরবন শুধ জীব বৈচিত্রের উৎস নয়, একই সাথে বন সংলগ্ন লক্ষ লক্ষ মানষের জীবন জীবিকার উৎস হিসাবে অবদান রাখছে। দেশের অন্তত ৪০ লাখ মানষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সন্দরবনের প্রাকতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। কাঠ, মধ, মৎস, অন্যান্য বনজ সম্পদ আহরনের মাধ্যমে ৫-৬ লাখ মানষ প্রায় সারা বছর জীবিকার জন্য সরাসরি সন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। জীববৈচিতর্্েযর প্রাচরে‌্যর জন্য ১৯৯২ সালে সন্দরবনকে রামসার সাইট হিসেবে স্বীকতি দেওয়া হয়। আর ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেসকো সন্দরবনকে প্রাকতিক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ায় সন্দরবন এখন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এক ভ্রমণকেন্দ্র। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার ২ শত ৮০ বর্গ কিলোমিটার এর মধ্যে বাংলাদেশে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। বিশ্বের বহত্তম বাদাবনের এ স্বীকতি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই গর্বের। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে সন্দরবন গড়ে ওঠেছে অপর্ব প্রাকতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে। বৈজ্ঞানিক, নতাত্তি¡ক ও প্রতœতাত্তি¡ক বিবেচনায় সন্দরবন খবই গুরুত্বপর্ণ। জীববৈচিতর্্েযর আধার ও পরিবেশ সরক্ষার জন্য ১৯৯৭ সালে তিনটি অভয়ারণ্য এলাকাকে ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। তিনটি বন্যপ্রাণির অভয়ারণ্য নিয়ে গঠিত ওই বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকার মোট আয়তন এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। সন্দরবন ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইডের পাশাপাশি বিশ্বের বহৎ জলাভমি। সন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা সমগ্র সন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। এ ছাড়া সন্দরবনের সমদ্র এলাকার পরিমাণ ১ হাজার ৬০৩ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার। এই জলভাগে ছোট-বড় ৪৫০টি নদী ও খালে রয়েছে বিলপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার। সন্দরবনের মোট আয়তনের ৬৮ দশমিক ৮৫ ভাগ অর্থাৎ ৪ হাজার ২৪২ দশমিক ৬ বর্গকিলোমিটার হ”েছ ¯’লভাগ। সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ঘোষণা করে। যা

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings