X

সূর্যমুখীর হাসিতে হাসেন জসীম উদ্দিন

প্রকৃতির রঙিন ছোঁয়ায় সৌন্দর্য খুঁজে পান অনেকে, আর সেই সৌন্দর্যের মাঝে নিজের স্বপ্ন গড়ে তুলেছেন কৃষক জসীম উদ্দিন। সূর্যমুখী চাষ করে তিনি শুধু মাঠকেই রাঙাননি, বরং অর্থনৈতিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী।

জসীম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায়। কয়েক বছর আগেও তিনি ধান ও অন্যান্য প্রচলিত ফসল চাষ করতেন। কিন্তু কৃষিতে নতুন কিছু করার ইচ্ছা থেকে তিনি সূর্যমুখী চাষের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও এখন তার মাঠজুড়ে শুধু সোনালি সূর্যমুখীর হাসি।জসীম উদ্দিন জানান, সূর্যমুখী চাষের জন্য খুব বেশি খরচ বা পরিশ্রম প্রয়োজন হয় না। সামান্য পরিচর্যা ও নিয়মিত পানি সেচের মাধ্যমেই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ফুল ফোটে এবং বীজ সংগ্রহের উপযোগী হয়। তার খামারে এবার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে, যা থেকে তিনি ভালো লাভের আশা করছেন।

সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল উৎপাদন করা যায়, যা বাজারে বেশ চাহিদাসম্পন্ন পণ্য। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখীর মতো তেলসমৃদ্ধ ফসলের চাষ বাড়ানো প্রয়োজন। এ কারণে সরকারও কৃষকদের উৎসাহিত করছে এবং নানা সহায়তা দিচ্ছে।জসীম উদ্দিন জানান, ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় পরিসরে সূর্যমুখী চাষ করতে চান। পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকদেরও তিনি এই চাষে উৎসাহিত করছেন। তার মতে, এটি শুধু লাভজনকই নয়, বরং জমির উর্বরতা ধরে রাখতে সহায়কও।প্রকৃতির রঙিন সৌন্দর্যের মাঝে অর্থনৈতিক সাফল্যের দৃষ্টান্ত গড়েছেন জসীম উদ্দিন। তার এ উদ্যোগ অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings