জম্মু ও কাশ্মীরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপোরার নাদের ও ত্রাল এলাকায় আজ ভোরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র গোলাগুলির পর এই সন্ত্রাসীরা নিহত হয়।
জানা গেছে, এই তিন সন্ত্রাসী একটি আবাসিক বাড়িতে লুকিয়ে ছিল এবং তারা খুব বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। গত ৪৮ ঘণ্টায় এটি জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দ্বিতীয় বড় সংঘর্ষ।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেই সংঘর্ষটি প্রথমে কুলগামে শুরু হয়েছিল এবং পরে শোপিয়ানের একটি বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের গতিবিধি ট্র্যাক করে এই অভিযান চালায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক্স-এ পোস্ট করে জানায়, মঙ্গলবার শোপিয়ানের শোয়েকাল কেলার এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিট একটি অনুসন্ধান ও ধ্বংস অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে, এবং তীব্র গোলাগুলির পর তিনজন কট্টর সন্ত্রাসী নিহত হয়। অভিযান এখনো চলছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়মিতভাবে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে গত ২২ এপ্রিল পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, যেখানে ২৬ জন নিহত হয়েছিল। এই হামলার জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা। এই অভিযানের ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।