আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে এবং গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখার কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি, মূল্যস্ফীতি আরো বেশি কমা উচিত। মূল্যস্ফীতির বড় একটা চ্যালেঞ্জ এক্সচেঞ্জ রেট, যা ইতোমধ্যে অনেকাটা অতিক্রম করেছি। অনেক দিন ধরে টাকাপ্রতি ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকার মধ্যে আছে। এটা আমাদের জন্য স্বস্তি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি- খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে, এটি কমছে, এখন ১০ শতাংশের নিচে আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-গ্যাসের দাম আর বাড়বে না। বিশ্ববাজারে আমাদের রপ্তানি সক্ষতা অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি টাইট করে রেখেছে। এসব উদ্যোগে মূল্যস্ফীতি আর বাজেটে যে লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে কমে আসবে। আশা করছি আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭ শতাংশে নেমে আসবে মূল্যস্ফীতি।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আসন্ন ঈদ ও রোজার ঈদের বাজার তুলনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখবেন আমরা এখন স্বস্তিতে আছি। এখন ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে যত কথা বলছি, কৃষকের অধিকার নিয়ে অতটা বলি না। এখন ভোক্তারা অল্প দামে আলু পেলেও কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রধানরা।