শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় বেতন গ্রেডের নবম (এর ওপরেরও) থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। সে অনুযায়ী, ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পর্যন্ত কোটা বহাল ছিল। মূলত, ৪০তম বিসিএস থেকে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা ছিল। তবে কোটা বাতিলের পরও সিভিল সার্ভিসে নিয়োগে নারীদের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। কোটা বাতিলের আগে-পরে ১০টি বিসিএস পরীক্ষার নিয়োগের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোটা বাতিলের আগে ও পরে নারীদের নিয়োগের হারে খুব একটা পার্থক্য নেই।
‘১০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের পরও নারীরা আগের মতোই নিয়োগ পাচ্ছেন। এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। ৪০তম বিসিএস থেকেই কিন্তু নারীদের কোনো কোটা নেই’- যোগ করেন মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, এতে বোঝা যাচ্ছে, বিসিএসে নারীদের নিয়োগ পাওয়ার হার কমেনি। প্রতিটি বিসিএসে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ নারী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। সেটি কিন্তু তারা ধরে রেখেছেন, সেখানে কোনো ব্যত্যয় নেই।
নারীরা কোনোরকম পিছিয়ে যাচ্ছেন না, বরং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন দাবি করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ক্যাডার সার্ভিস ছাড়াও সবমিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ২৯ শতাংশ নারী রয়েছেন।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি আমাদের পরিসংখ্যান দেখেন, বুঝতে পারবেন যে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন না, বরং এগিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ৩৫তম বিসিএসে নারী কর্মকর্তা রয়েছেন ২৮ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে নারী ২৮ জনের মতো। ৩৬তম বিসিএসে আমরা দেখেছি নারী কর্মকর্তা ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৭তম বিসিএসে দেখেছি ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩৮তম বিসিএসে ২৬ শতাংশ। ৪০তম বিসিএসে দেখেছি নারীদের হার ২৬ শতাংশ। সবশেষ ৪১তম বিসিএসে ২৬ নারী প্রার্থী পদায়নের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।