X

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে ‘দায়মুক্তি’ বলল আওয়ামী লীগ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্টদের মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনাকে ‘দায়মুক্তি’ বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ।

দলটি বলছে, জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইনডেমনিটি বাতিল করে সব হত্যাকারী, লুটপাটকারী, অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এ বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলা হয়।

গতকাল (১৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কাউকে হয়রানি করা হবে না।

আওয়ামী লীগের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘১৫ আগস্টের খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি খন্দকার মোশতাক। জনগণ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মহান জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছে। ইনশাআল্লাহ খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না, আবারও বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইউনূসের ইনডেমনিটি বাতিল করে সকল হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।’

সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ওই পোস্টে বলা হয়, ‘এর মানে হলো যারা হাজার হাজার পুলিশ হত্যা করেছে, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত করেছে, অনেককে আজীবনের জন্যে পঙ্গু করেছে, লক্ষ কোটি টাকার জনগণের সম্পদের ক্ষতি করেছে তাদের সব অপকর্মের জন্য দায়মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে!’

সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার বন্ধে খন্দকার মোশতাকের দেওয়া ইনডেমনিটির সঙ্গে তুলনা করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। যদিও দলটি ক্ষমতায় থাকতে ওই ইনডেমনিটির জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করত।

গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পোস্টে শেখ হাসিনাকে দলীয় সভাপতি হিসেবেই সম্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার ও মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে দলীয় সভাপতি বলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও বলা হয়েছে।

মঙ্গলবারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ করিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার পর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে ড. ইউনূস ও তার পরিষদ হত্যাকারী ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী, চক্রান্তকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ জুলাই থেকে যে সকল হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ সংগঠিত হয় সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল এনকোয়ারি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন এবং জাতিসংঘের কাছে উন্নত প্রযুক্তিসহ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার জন্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরিকল্পনার অংশ–– প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর মানে হলো আন্দোলনের সময় যত হত্যা হয়েছে তা প্রি-প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। যারা এই কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে এবং ৫ আগস্ট থেকে হাজার হাজার মানুষকে পুলিশকে হত্যা করেছে তারা চিহ্নিত হোক ও বিচারের মুখোমুখি হোক তা ইউনূস চান না। হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেওয়ার মাধ্যমে বিনা তদন্তে ও বিনা বিচারে ক্ষমা করে দিয়েছেন, একইসঙ্গে তিনি ও তার সহযোগীরাও এসব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত- তাই প্রমাণিত হয়।’

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings