X

৬ মাসে সরকারের ঋণ ৩২ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সরকার ৩২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মূলত বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে সরকার এই ঋণ গ্রহণ করেছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, যা বেশিরভাগই এসেছে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। অন্যদিকে, বৈদেশিক উৎস থেকে ১১ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে ঋণ

সরকার প্রতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মোট জিডিপির প্রায় ৫.২ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে।অর্থনীতিবিদদের মতে, চলতি অর্থবছরে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে, কারণ রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না পৌঁছালে সরকারকে আরও ঋণ নিতে হবে। তবে, সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনায় সুশৃঙ্খল নীতি অনুসরণ করা জরুরি, যাতে সুদের বোঝা বেশি না হয় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

ঋণের প্রভাব ও করণীয়

বিশ্লেষকদের মতে, সরকার যদি উৎপাদনশীল খাতে ঋণের অর্থ ব্যবহার করে, তাহলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধি পেলে এবং সুদের হার বেড়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা সুদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা ও কৌশলী নীতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক সহায়তা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য কর ব্যবস্থার সংস্কার ও কর আহরণ কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আগামী ছয় মাসে ঋণের পরিমাণ কতটুকু বাড়বে, তা নির্ভর করবে সরকারের রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়ের ব্যবস্থাপনার ওপর। তবে অর্থনীতির সুস্থ প্রবাহ বজায় রাখতে উৎপাদনশীল খাতে ঋণের অর্থ ব্যয়ের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings