X

2 নারী উদ্যোক্তার সফলতার গল্প

আরিফিন পারভীন লিজা
কুষ্টিয়ার আরিফা পারভীন লিজা একজন প্রভাষক। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি পা রাখেন উদ্যোক্তা জীবনে। কাজ করছেন হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন খাবার নিয়ে। এটাই তার সিগনেচার প্রোডাক্ট। করোনাকালে অটুট মনোবল ও দক্ষতা দিয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি হাতে তৈরি মিষ্টি পৌঁছে দেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরেও ১২টি দেশে মিষ্টি পাঠিয়েছেন তিনি। মাত্র দুই বছরে অনলাইনে মিষ্টি বিক্রি করে লাখোপতি হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা আমার জীবনে এসেছিল নতুন একটি পরিচয় তৈরি করতে। করোনা না এলে হয়তো আমি উদ্যোক্তা হতে পারতাম না। এখন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে নিজেকে খুব ভালো লাগে। পরিবারও আমার এ কাজে প্রচুর উৎসাহ দেয়। বিশেষ করে আমার স্বামী এবং ভাই খুবই সাহায্য করে। বাধা যে পাইনি তা নয়, এ কাজ করতে গিয়ে আশেপাশের মানুষ অনেক কটু কথা বলেছেন। তবে নিজের কাছের মানুষগুলো উৎসাহ দিয়েছেন বলে অন্যের কথা খুব একটা গায়ে মাখিনি।

রুবাইদা রিয়াত রাখী
রুবাইদা রাখী প্রথাগত নিয়ম ভেঙে চার বছর ধরে কাজ করছেন ঘরের তৈরি খাবার নিয়ে। মূলত ঢাকা শহরের ব্যস্ত চাকরিজীবী, ব্যাচেলরদের কথা ভেবেই তার এ উদ্যোগ শুরু। দেশীয় ১০০ রকমের ভর্তা, ভাজি, হারাতে থাকা আঞ্চলিক অনেক রকম খাবার নিয়ে কাজ করছেন তিনি। প্রায় ৫০০ জন পর্যন্ত মানুষের রান্না করা খাবারের অর্ডার নেন তিনি। আর এতেই তিনি দেখা পান সফলতার।

তিনি বলেন, ‘শুরুটা কখনোই কারোর জন্য সহজ হয় না। কাজ ছোট কিংবা বড় হোক সবাইকেই কাজটা নিয়ে ভীষণ সাধনা করে যেতে হয়। মেধা, শ্রম, বুদ্ধি এবং সততা দিয়ে এগোনোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। রান্নার কাজ খুব কষ্টসাধ্য এবং পরিশ্রমের। আমি কোনো বাধায়ই থেমে থাকিনি। সব রকম পরিস্থিতিতে লড়ে গেছি। কখনো কম্প্রোমাইজ করিনি। কাজটিকে নেশা হিসেবে নিয়েছি, প্যাশন হিসেবে দেখেছি। কাজকে আমি শুধু আমার ভেবে আপন করতে চেষ্টা করি। সফলতা বলতে ভীষণ রকম পরিশ্রম আর ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যাওয়াই বুঝি। থেমে থাকলে বা ভয় পেলে চলবে না। কাজ যেমনই হোক, নিজের কাজকে সম্মান প্রদর্শন করে চালিয়ে যেতে হবে। পরিশ্রম আর লেগে থাকাটা নির্ণয় করবে আপনার অবস্থান।’

Md Abu Bakar Siddique:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings