চুয়াডাঙ্গায় গত দুই দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে জেলার ৪ উপজেলার ১৫ লাখ মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। বিকাল থেকে পরদিন বেলা ১০টা পর্যন্ত চলছে শীতের দাপট। সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশাভেদ করে তা উত্তাপ ছড়াতে পারছেনা। আজ শনিবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষ।তার সময়মত কাজে যেতে পারছেনা। অপরদিকে সন্ধ্যা নামার সাথে-সাথেও শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শীতের কারণে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডা, জ্বর, হাচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারনে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে । বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। দিনমজুররা কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। ব্যবসায়ও শীতের প্রভাব পড়েছে। সন্ধ্যার পর জনসমাগম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন। শীতের প্রকোপে গোটা জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। শীত জেকে বসলেও এখন পযন্ত শীতাথ মানুষের মাঝে কোন শীতবস্ত বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শনিবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৮৫ ভাগ। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ৯৭ শতাংশ। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।