আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রংপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু করে রাত দেড়টা পর্যন্ত রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মডার্ন মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে রাস্তার দুই পাশে দমদমা থেকে সাতমাথা পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ কিমি মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়। রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়া আহমেদ ইমতি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আজকের মতো অবরোধ তুলে নেওয়া হলো। আগামীকাল বিকেল থেকে ফের কর্মসূচি পালন করা হবে। অবরোধকারীরা বলেন, যে আওয়ামী লীগ জুলাই-আগস্টে আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, তাদের অবশ্যই বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্তর্বরর্তী সরকারের
উচিত ছিল আরও আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা আজ একত্র হয়েছি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না। এর আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের দ্রুত বিচারের দাবিতে যৌথভাবে বিক্ষোভ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও যুবদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রংপুর নগরীর ডিসির
মোড় এলাকায় মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন তারা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেগম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পার্ক মোড়, সরকার পাড়া হয়ে ক্যাম্পাসের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ, ব্যান ব্যান’সহ নানা স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি ‘জুলাই’ নেমে এসেছে। আজকে আমরা রাজনীতির নামে যে দল গণহত্যা করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে তাদের নিষিদ্ধের দাবিতে এখানে এসেছি। আমাদের দাবি স্পষ্ট, যে মাটিতে আমাদের ভাই-বোন
শহীদ হয়েছেন, সেই মাটিতে হত্যাকারীদের কোনো জায়গা হবে না। অনতিবিলম্বে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ বলেন, এই বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠিকানা হবে না। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সন্ত্রাসী সংগঠন দীর্ঘ ১৬ বছর ছাত্র-জনতার ওপরে অন্যায়-অত্যাচার করেছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের এই বাংলায় থাকার অধিকার শেষ হয়ে গেছে। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।