সুস্থ থাকতে নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। তাই আমরা নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে বর্ষায় শাক খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।
কারণ বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় শাকসবজিতে ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু কিংবা ছত্রাক বসে। তাই এই সময় শাক-সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। বর্ষায় শাকসবজি খেতে হলে তা ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে এবং ভালো করে রান্না করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তবেই শাক-সবজি খান-
টাটকা শাক-সবজি কিনুন: কেনার সময় দেখে নিন শাকসবজি টাটকা কি না। নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা শাক হলদে হয়ে গেলে সেগুলো ভুলেও কিনবেন না। দরকার হলে কেনার সময় শাকের পাতা ছিঁড়ে পরীক্ষা করবেন।
ভালো করে ধুয়ে নিন: বাজার থেকে শাকসবজি কিনে আনার পর প্রথম কাজ হলো সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নেওয়া। প্রয়োজনে ৫-১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কারণ শাকসবজির ফলন যাতে ভালো হয়, সে জন্য অনেক সময় নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। ঠিক করে না ধুয়ে রান্না করলে বর্ষায় পেটখারাপ ছাড়া আরো অনেক সমস্যা হতে পারে।
লেবু ও বেকিং সোডা মিশ্রিত পানি: ১লিচার পানিতে একটি লেবুর রস ও এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ১০ মিনিট সবজিগুলো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর হালকা হাতে ঘষে পরিষ্কা করুন।
লবণ মেশানো পানি: সবজি ধোয়ার জন্য লবণ মেশানো পানি কার্যকর। পানিতে লবণ মিশিয়ে সবজিগুলো ভিজিয়ে রাখুন। এতে সবজিতে থাকা মাটি, পোকা ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।
পাতাযুক্ত সবজি পরিষ্কার: পালং শাক, মেথি, ধনেপাতার পাতা ছিঁড়ে কাগজে মুড়ে রাখুন। ব্যবহারের আগে লবণ পানিতে ভিজিয়ে নিন।
ব্রাশ বা ঝিনুক ব্যবহার : আলু, অরবি, মূলা, গাজর, আদার মতো সবজির ওপর মাটি লেগে থাকলে পানিতে ভিজিয়ে নরম ব্রাশ বা ঝিনুক দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
গরম পানিতে ভাঁপিয়ে নিন: খুব ভালো হয় রান্নার আগে যদি শাকসবজি গরম পানিতে ভাঁপ দিয়ে নেওয়া যায়। শুধু ভালো করে ধুলেই হবে না। কারণ শাকপাতায় থাকা ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু দূর করতে এর চেয়ে ভালো উপায় আর নেই।
পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন :সঙ্গে সঙ্গে রান্না না করলে শাকপাতা ধোয়ার পর পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। ভেজা অবস্থায় রেখে দিলে নতুন করে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তা না চাইলে পানি ঝরিয়ে নিয়ে শাকসবজিগুলো খবরের কাগজের ওপর ছড়িয়ে রাখুন শুকানোর জন্য।
বরফ পানিতে ডুবিয়ে রাখুন: শাক জীবাণুমুক্ত করার আরো একটি উপায় হলো বরফপানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখা। ৫ মিনিট বরফপানিতে রাখলে শাক সতেজ হয়ে যাবে। শাকের সবুজ রং ও সতেজ ভাবও ঠিক থাকবে।
