‘দুদক কর্মকর্তা’ পরিচয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- মো. তরিকুল ইসলাম, মো. আবদুল হাই সোহাগ, মো. আতিক, সেলিম ও মো. সোহাগ পাটোয়ারী।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাদের আদালতে হাজির করেন। প্রতারকচক্রের অন্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য জানতে আসামিদের প্রত্যেককে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার (২৮ জুন) মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের সহযোগিতায় পরদিন রবিবার একই এলাকার দক্ষিণ মান্দা থেকে সোহাগ পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি সনি ডিজিটাল এইচডি ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুটি পাসপোর্ট, সমকাল পত্রিকার নামে আইডি কার্ড, এশিয়ান টিভি ও এফসি টিভির ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেক বই, ছয়টি মোবাইল সেট ও ১৩টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় রবিবার (২৯ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা দুদকের চেয়ারম্যান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন এবং এর সঙ্গে একটি অডিও যুক্ত করেন।
রাত ১০টার দিকে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে। মাহমুদা মিতুকে বলা হয় আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা পয়সার অভাব থাকার কথা নয়, আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের দৃষ্টিগোচর হলে পুরো বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়।