আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের খাসকামরায় সুমাইয়া স্বীকারোক্তি দেন। বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধি-র ১৬৪ ধারায় আসামির দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড থেকে আদালতে হাজির করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে আসামি স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন তার বক্তব্য রেকর্ড করার আবেদন করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ৮ জুলাই ভাটারা থানা এলাকায় কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।
এ ঘটনায় ১৩ জুলাই ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।