পত্রিকার পাতা
ঢাকাসোমবার , ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ভোজ্যতেলের সংকট: কবে কাটবে এই দুর্ভাবনা?

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৫, ২০২৫ ২:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট যেন কোনোভাবেই কাটছে না। ক্রেতারা ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের জন্য বাজারে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। অথচ সরবরাহ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন খুচরা বিক্রেতারাও।

সরবরাহ ঘাটতির কারণে সয়াবিন তেল পেতে ক্রেতারা বাড়তি অর্থ গুনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমান বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার ১৭৫ টাকায় এবং ৫ লিটার বোতল ৮৫০-৮৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকায়।

কেন এই সংকট?

দোকানিদের ভাষ্য মতে, ডিলাররা সঠিকভাবে তেল সরবরাহ করছেন না। যদিও পাইকারি বিক্রেতারা দাবি করছেন, তেলের কোনো সংকট নেই এবং ব্যারেলপ্রতি দাম কমেছে। তবে বোতলজাত তেলে সংকটের কথা তারা স্বীকার করেছেন।

মধুবাগ বাজারের দোকানি তানভির বলেন, “গত দুই-তিন মাস ধরে তেলের সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। অর্ডার দিয়েও তেল পাচ্ছি না। রমজানের আগে আরেক দফা দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা জাহাঙ্গীরের দাবি, সরবরাহ চাহিদা অনুযায়ী রয়েছে। তবে বোতলজাত তেলে কিছুটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

ক্রেতাদের অসন্তোষ

বাজারে তেল কিনতে আসা ক্রেতা শাহেদ বলেন, “তেল কিনতে এসে প্রতিবারই বাড়তি টাকা গুনতে হয়। ৩৫০ টাকা এমআরপি হলেও তা মানা হচ্ছে না। আমাদের দেখার যেন কেউ নেই।”

সরকারের উদ্যোগ ও সংকটের বাস্তবতা

গত ডিসেম্বর থেকে ভোজ্যতেলের দামে নতুন করে বৃদ্ধি করা হয়। বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। খোলা তেলের দাম ১৫৭-১৬০ টাকা এবং পাম তেল ১৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এনবিআর সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাস করে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাজারে সংকট এখনো বিদ্যমান।

রমজানকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ

রমজানকে সামনে রেখে বড় ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট তৈরির আশঙ্কা করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা মনে করছেন, রমজানের আগেই তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক করা না হলে সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।

সংকট নিরসনের উপায়

সরকারের উচিত দ্রুততার সঙ্গে বাজার তদারকি করা এবং বড় ব্যবসায়ীদের মজুদ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। একই সঙ্গে আমদানি করা তেলের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

এই সংকট কাটাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে রমজানের সময় ভোজ্যতেলের বাজারে আরও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।